এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপিকে এত ভয়? শেষ পর্যন্ত মিডিয়ারও কন্ঠরোধের চেষ্টা মমতার! তুলোধোনা শুভেন্দুর!

বিজেপিকে এত ভয়? শেষ পর্যন্ত মিডিয়ারও কন্ঠরোধের চেষ্টা মমতার! তুলোধোনা শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে জব্দ করেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে, তখনই মুখ্যমন্ত্রী একটা কথা বলেছিলেন। তার মুখ থেকে শোনা গিয়েছিল, তুমি দুর্বল হতে পারো, আমি দুর্বল নই। কিন্তু তার কথা অনুযায়ীই ধরে নেওয়া গেল যে, শুভেন্দু অধিকারী বা বিজেপি রাজ্য বিধানসভায় দুর্বল, তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা কম। কারণ তারা বিরোধী দল। কিন্তু তাদের কাছে তো অনেক সংখ্যা রয়েছে। তৃণমূল তো প্রচুর সংখ্যা নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায়। সবকিছু তো তাদেরই দখলে। কিন্তু তারপরেও কিসের এত ভয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের! যার কারণে আজকে ফ্যাসিস্টের চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে এমন এক ঘটনা এই রাজ্যের বিধানসভায় ঘটে গেল, যা দেখে সকলেই এক বাক্যে তার নিন্দা করছে। সকলেই বলছেন, এ কোন রাজ্যে বাস করছি আমরা! এতদিন বিরোধীদের কণ্ঠরোধ হয়েছে। কিন্তু এবার শেষ পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রেও এত বড় মাপের কন্ঠরোধ! আর বিধানসভায় এই ধরনের ঘটনা দেখে যারা অনুপ্রাণিত মিডিয়া, যারা দিনরাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি করলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি খেলেন, কোথায় গেলেন, সেই খবর করতে ব্যস্ত থাকেন, তাদের চোখের সামনে এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দেখিয়ে দিলেন যে, দেখুন আপনাদের কি দৈনদশা করেছে এই রাজ্যের শাসক দল!

প্রসঙ্গত, গতকাল রাজ্য বাজেট অধিবেশনের পরেই সোজা মিডিয়া সেন্টারে চলে যান এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সহ বিরোধী বিধায়করা। আর সেখানেই তারা সাংবাদিক বৈঠক শুরু করে দেন। তবে কিছু সময় পর অনলাইনে সাংবাদিক বৈঠক করতে গিয়ে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুঝে যান যে, সকল সংবাদমাধ্যম শুভেন্দু অধিকারীর কথা শুনতে ব্যস্ত। সেক্ষেত্রে তার টিআরপি তো কমে যাচ্ছে। তাই তিনি তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দেন যে, আমি কিন্তু বেশি সময় দিতে পারব না। পরবর্তীতে তিনি বেশ কিছুক্ষণ সাক্ষাৎকার দিলেও, রাজ্যের মানুষ কিন্তু সব থেকে বেশি লক্ষ্য রেখেছিল শুভেন্দু অধিকারীর এদিনের বক্তব্য। আর সেটা প্রতি পদে পদে বুঝতে পেরেই আজ রাজ্য বিধানসভার যে মিডিয়া সেন্টার রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন নেতারা গিয়ে তাদের বক্তব্য রাখেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে, সেই মিডিয়া সেন্টারেও তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন কার ইন্ধনে এটা হয়েছে, কে করেছে, সেটা সকলেই বুঝতে পারছেন। একদম নবান্নের চৌদ্দতলা থেকে এই নির্দেশ না আসলে যে এমনটা হবে না এবং ভয় থেকেই চৌদ্দতলায় বসে থাকা মহারানী এই নির্দেশ দিয়ে বিজেপিকে আটকানোর জন্যই এমন কাজ করেছেন, তা নিয়ে সন্দেহ নেই বিরোধীদের মধ্যে। তাই শুভেন্দু অধিকারীও এদিন জানিয়ে দিলেন যে, এই রকম জিনিস কি কোনোদিন রাজ্য বিধানসভায় হয়েছে! যেখানে সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়ে এই রাজ্য সংবাদমাধ্যমের কন্ঠরোধ করার পর্যায় চলে গিয়েছে।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, ঔদ্ধত্যের শেষ সীমায় চলে গিয়েছে এই রাজ্যের শাসকদল। যারা ভয় পায়, তারাই বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে। তবে এবার বিধানসভায় কথা বলার অধিকারটুকুও খর্ব করে নেওয়া হলো। সংবাদমাধ্যমের কক্ষেও যেভাবে তালা দিয়ে দেওয়া হলো, তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ভয়ে আর ঠিক থাকতে পারছেন না। আর সেই কারণেই তিনি এই কাজ করাতে বাধ্য করেছেন। তবে আজকের এই দিনটি বিধানসভার ইতিহাসে কালো দিন হয়ে থাকলো বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।পর্যবেক্ষকদের মতে, ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতি এই রাজ্যে তৈরি করছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দল। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তো রাজনৈতিকভাবে পেরে উঠছেন না, এমনকি তার বক্তব্যের সঙ্গেও পেরে উঠছেন না। তিনি বুঝতে পারছেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর জনপ্রিয়তা কতটা বাড়ছে এই রাজ্যে! মানুষের কাছে তিনি কতটা জননেতা হয়ে উঠেছেন।

তাই এইসব আতঙ্ক গ্রাস করছে জন্যেই এখন বিধানসভার ভেতরে যাতে শুভেন্দু অধিকারী কথা বলতে না পারেন, তার কথা যাতে টেলিভিশন মিডিয়ায় ফোরকাস্ট না হয়, তার জন্য সংবাদ মাধ্যমের ঘরটাতেই তালা লাগিয়ে দেওয়া হলো। কিন্তু এসব করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধাদান করতে পারবে এই রাজ্যের শাসক! সেক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের অসুবিধা হলো। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভুলে গেলেন যে, এখন প্রত্যেকের হাতে একটা করে সেলফোন রয়েছে। তাই সেই ফোনে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটকে কাজে লাগিয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে কথাকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে খুব একটা বেশি অসুবিধা হবে না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তাই যে সমস্ত অনুপ্রাণিত মিডিয়ারা দিনরাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুণগান করেন, তারা এবার বুঝুন যে, তাদের কণ্ঠরোধ করে এই রাজ্যের সরকার কি পরিমান সর্বনাশ করছে! গণতন্ত্রের সব ধাপকে হত্যা করার পর এবার চতুর্থ স্তম্ভের দিকেও কিভাবে এগিয়ে আসছে এই সর্বনাশী সরকারের করাল গ্রাস। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!