এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতাকে সরাতে শুভেন্দু একাই কাফি, নিজেই বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী! সোচ্চার বিজেপি!

মমতাকে সরাতে শুভেন্দু একাই কাফি, নিজেই বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী! সোচ্চার বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে খুব ভয় পাচ্ছেন। শুধু ভয় পাচ্ছেন, তা নয়। খুব খুব খুব ভয় পাচ্ছেন। প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে, শুভেন্দু অধিকারী তাকে একেবারে কাবু করে ছাড়ছে। রাজ্য বাজেট অধিবেশন থেকে শুরু করে বিধানসভার অন্যান্য দিন, মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত হলেই কি করে তাকে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিদ্ধ করতে হয়, তা খুব ভালো করেই জানেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ফলে যারা চুরির বিরুদ্ধে, যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, যারা পশ্চিমবঙ্গকে ভালোবাসেন, তারা কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর এই লড়াইটাকে ভীষণভাবে সাপোর্ট করছে। কিন্তু শাসক দলের পক্ষ থেকে সেই শুভেন্দু অধিকারীকে বিভিন্ন সময়ে স্পিকারকে দিয়ে সাসপেন্ড করিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে তার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ আনা হয়েছে। আর বাজেট অধিবেশনের দিন যখন প্রতি পদে পদে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে দশ শূন্য গোল খেয়ে গিয়েছেন, ঠিক তার পরের দিন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আবার একটা চক্রান্ত শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা অভিযোগ এনে তারা আবার স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ জমা দিয়েছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তৃণমূল শুভেন্দু অধিকারীকে কাবু করতে তার বিরুদ্ধে যা খুশি তাই করতে পারে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারী কি করলেন, সেটাই দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন এই রাজ্যের মানুষ। তাই আজকে সাংবাদিকরা এই বিষয় নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করতেই তিনি একেবারে ঝামা ঘষে দিলেন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের মুখে।প্রসঙ্গত, আজ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একটি স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে? তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তিনি নাকি জাতীয় সংগীতের অপমান করেছেন। অনেকে বলছেন, বিষয়টা ঠিক তা নয়। এই রাজ্যের সরকার তো যা খুশি তাই করতে পারে। তারা তো এই রাজ্যকে আলাদা দেশ ভাবে। তাই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সংগীত বলে একটা গান ঠিক করেছেন, খুব ভালো কথা। কিন্তু সেই গানটাকে স্পিকারকে দিয়ে তিনি রাজ্যের বাজেট অধিবেশনের পর বাংলার জাতীয় সংগীত বলে উল্লেখ করিয়েছিলেন। আর সেটার প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা‌।

তাই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গাত্রদাহ হচ্ছে। সেই কারণেই তিনি নিজের ছোটখাটো অনুগামীদের দিয়ে এই ধরনের একটা নোটিশ শুভেন্দু অধিকারীকে ভয় দেখানোর জন্য তার বিরুদ্ধে জমা করিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এসব করে কি লাভ হবে? বরঞ্চ একটা খাতা খরচ হবে, একটা পেন খরচ হবে, সময় নষ্ট হবে। কিন্তু তার বেশি কি শুভেন্দু অধিকারীকে এইসব করে আটকাতে পারবেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে এদিন সেই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, এই বিষয়ে নিয়ে আমি কিছু বলব না। বাইরে। যা বলার বিধানসভার ভেতরেই বলব। আর এসব করে আমার কিছু করতে পারবে না। আমাকে অনেকবার সাসপেন্ড করেছে, স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ দিয়েছে। সুতরাং এসবকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনো প্রশ্ন নেই।

বিজেপির দাবি, শুভেন্দু অধিকারী এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রধান আতঙ্কের কারণ। তিনি বুঝতে পারছেন যে, একজন বিরোধী দলনেতা, তাকে প্রতিমুহূর্তে খাবি খাইয়ে ছাড়ছেন। তাই তাকে আগে আটকাতে হবে। সেই কারণে আবার একটা স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ। কিন্তু এই নোটিশ দিয়ে কি হবে! শুভেন্দু অধিকারীর কন্ঠ তো রুদ্ধ করতে পারবেন না এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেপে ধরছেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, তার মুখের ওপর চোর, চোর বলে স্লোগান দিচ্ছেন, তাতে তো প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে অবিলম্বে সরে আসা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু তিনি বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চান, শুভেন্দু অধিকারীকে কাবু করতে চান। তাই এসব স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ আনতে চাইছেন। কিন্তু এসব যত বেশি করবেন, ততই শুভেন্দু অধিকারীর জনপ্রিয়তা বাড়বে এবং তিনি আরও বেশি এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করার উৎসাহ পাবেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে সঠিক জায়গায় ঘা দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পারছেন যে, শুভেন্দুবাবু যে সমস্ত ত্রুটি বিচ্যুতি ধরে ফেলেছেন, তা তার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ এই সরকারের চুরিটা প্রকাশ্যে চলে আসছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের ওপর তার চোখে চোখ রেখে কথা বলার মত মানুষ এতদিন রাজ্য বিধানসভায় ছিল না। সেই জায়গা, সেই অভাব পূরণ করেছেন এই রাজ্যের জননেতা হয়ে ওঠা শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক যেমনটা বিগত বাম আমলে করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেমনটাই করছেন বর্তমানে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তাই সবকিছু বুঝে আতঙ্কিত হয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ এই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নিয়ে ফেলছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দল, যার ফলে নিজেরাই হাসির পাত্র হয়ে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রেও স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ত ভাবলেন, শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিবাদের রাস্তাকে আটকে দেবেন। তার উচ্চারিত কন্ঠকে দমিয়ে দেবেন। কিন্তু তিনি ভুল করলেন। একটা মস্ত বড় ভুল করে এই রাজ্যবাসীর কাছে প্রমাণ করে দিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি ভয় পাচ্ছেন। তাই তাকে প্রতিহিংসার রাজনীতির মধ্যে দিয়ে আটকে দেওয়ার জন্য সব সময় তৎপর ফ্যাসিস্ট শাসক। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!