দেবেন্দ্রনাথের রহস্য মৃত্যু কি সত্যিই আত্মহত্যা? জল্পনা বাড়ালেন স্বরাষ্ট্রসচিব! উঠছে প্রশ্ন উত্তরবঙ্গ কলকাতা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য July 16, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় সম্প্রতি সরগরম হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। বিধায়ক আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তার গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে তৈরি হয় বড় প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় চক্রান্তের অভিযোগ তুলে বিজেপির পক্ষ থেকে ময়দানে নামা হয়েছে। প্রথম থেকেই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু মঙ্গলবার এই ঘটনায় সাংবাদিক সম্মেলন করে সিআইডিকে দিয়েই তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যপাধ্যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালেই হেমতাবাদ বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। যেখানে বিজেপি বিধায়ক আত্মহত্যা করেছেন বলে লেখা রয়েছে। পাশাপাশি তার হাতে ক্ষতচিহ্ন এবং ঘাড়ে কালশিটের কথা উল্লেখ আছে। আর এতেই তৈরি হয়েছে জল্পনা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করলেও, সত্যিই কি গোটা ঘটনা আত্মহত্যা! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপির একাংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রয়াত বিধায়কের পকেট থেকে একটি নোট পাওয়া গিয়েছে। যেখানে তার নিজের হাতে লেখা কিছু তথ্য, দুটি ছবি এবং দুটি ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে ওই দুই ব্যক্তি সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করা আছে। ওই এলাকায় মিনি ব্যাংক সংক্রান্ত কিছু সমস্যা চলছিল। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, সেই সমস্যা সামাল দিতে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে ধার করা টাকা শোধ করতে না পারার হতাশা থেকেই সম্ভবত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন এই বিধায়ক।” কিন্তু এর সাথেই তিনি জানান যে, হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক খুনে রাজনৈতিক প্রভাব দেখা হবে না।নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। যার জেরে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে রাজ্যে।বিজেপির তরফ থেকে প্রশ্ন উঠেছে যে, যদি বিধায়কের মৃত্যু আত্মহত্যাই হয় তবে কেন তিনি বললেন যে, বিধায়ক খুনে রাজনৈতিক প্রভাব দেখা হবে না, নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। যদিও এই নিয়ে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তাই তদন্ত করতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা সিবিআইকে দিয়েই তদন্ত করা উচিত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজ্য প্রশাসন সিআইডিকে দিয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত করানোর কথা বলায় বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা কটাক্ষ করা হচ্ছে। এখন শেষ পর্যন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুকে “আত্মহত্যা” বলে উল্লেখ করা হলেও, তদন্তে কি উঠে আসে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -