প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  হাতে আর মাত্র 99 দিন। তার পরেই ঢাকে কাঠি পড়ে যাবে। এক বছরের প্রতীক্ষা শেষে ঘরের মেয়ে উমা আবার পা রাখবেন মর্তলোকে। কিন্তু এবার কি আর মহামায়া দেবী দুর্গার মর্তে আগমন সুচারুভাবে সম্পন্ন হবে! কেননা করোনা ভাইরাস এক্ষেত্রে সবথেকে বড় বাধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মান্যতা দিয়ে সমস্ত রকম অনুষ্ঠান বর্তমানে বন্ধ। যত দিন যাচ্ছে, তত ভাইরাসের দাপট বাড়ছে। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ নামিদামি ক্লাবের কর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে রেখেছেন যে, এবার নমো নমো করেই পুজো কাটিয়ে দিতে হবে। লকডাউন চলায় মানুষের পকেটে এখন টান চলছে।

তাই এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজোর মত আড়ম্বর করাটা ঠিক হবে না বলেই মনে করছেন সকলে। যার ফলে কিছুটা হলেও হতাশ গোটা বঙ্গবাসী। তাহলে কি সত্যিই এবার দুর্গাপুজোয় করোনা ভাইরাসের কারণে আনন্দ করতে পারবে না বাংলার মানুষ? নতুন জামা-কাপড় কি জুটবে না কারোর? ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বাংলার মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লেও, করোনা ভাইরাস যখন বাড়ছে, ঠিক তখনই দুর্গাপুজো নিয়ে আশার বাণী শোনালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, এদিন নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে সামনেই দুর্গাপুজো বলে সকলকে কিছুটা উজ্জীবিত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এখন তো সচেতন হয়ে থাকতে হবে। ভালো করে থাকতে হবে। সুস্থ থাকতে হবে। সামনে পুজো চলে এল। পুজো তো ভাল করে কাটাতে হবে।” কিন্তু যখন করোনা ভাইরাস নিয়ে সকলেই চিন্তায় রয়েছে, ঠিক তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজো নিয়ে এই ধরনের আশার বাণী শোনাচ্ছেন কি করে?

যেভাবে দিনকে দিন করোনা ভাইরাস বাড়ছে, তাতে তিনি এত নিশ্চিত হচ্ছেন কোথা থেকে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে বেশ কিছু জায়গায় আরও বেশি করে লকডাউন করা হয়েছে। যার ফলে মানুষ গৃহবন্দী হয়ে থাকায় তাদের মানসিক অবসাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে যাতে কেউ মানসিক ভাবে বিভ্রান্ত না হয়ে পড়েন, তার জন্য বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদীয় উৎসবে সকলকে আনন্দ করার কথা জানিয়ে এখন সুস্থ থাকার কথা বলে করোনা ভাইরাস থেকে সকলকে সচেতন থাকার বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অর্থাৎ তিনি দুর্গাপুজোর কথা বলে বাঙালির মনকে যেমন উজ্জীবিত করার চেষ্টা করলেন, ঠিক তেমনই বোঝাতে চাইলেন যে, এখন কিছুটা কষ্ট করলে দুর্গাপুজো আনন্দের সহকারে কাটানো যাবে। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বার্তার মধ্যে দিয়ে মানসিক অবসাদে যাতে কেউ না ভোগে, তার কারণেই এই রকম মন্তব্য করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সত্যি সত্যিই এই ভয়াবহ সঙ্কট মুহূর্ত কাটিয়ে উঠে মানুষ যাতে মহামায়ার আরাধনায় স্বাভাবিক ছন্দে মত্ত হতে পারেন, এখন সেই প্রার্থনাই করতে শুরু করেছেন গোটা বঙ্গবাসী।