এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > জাতীয় সড়কে ধর্নায় হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ, জোর শোরগোল!

জাতীয় সড়কে ধর্নায় হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ, জোর শোরগোল!

এবার বেনজির ঘটনা ঘটল এই রাজ্যে। হঠাৎ করেই পুলিশি বাধার মুখে পড়ে রাস্তায় বসে পড়লেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন করলেন বিজেপি সাংসদ? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 14 ই ফেব্রুয়ারি চুরাভান্ডার এলাকার এক তৃণমূল নেতা ভোম্বল ঘোষের উপর আক্রমনের অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে। আর এরপরই সেই বিজেপি নেতাকে ভর্তি করার পর শনিবার তিনি সেখানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এদিকে এরপর মৃত তৃণমূল কর্মীর দেহ দলীয় কার্যালয়ে আসার পর তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, তখনই তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আর দলের কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এদিন সেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। অভিযোগ, ময়নাগুড়ির অসম রোডে তাকে আটকে দেওয়া হয়।

আর এর পরেই পুলিশি বাধা পেয়ে জাতীয় সড়কের পাশে ধরনায় বসে পড়েন এই হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ। আর পুলিশি বাধা পেয়ে যেভাবে বিজেপি সাংসদ রাস্তায় ধরনায় বসে পড়লেন, তা নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা রাজনীতিতে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, “আমি পুলিশের বাধায় চূড়াভান্ডারে যেতে পারলাম না। কিন্তু এরপর দিন ঠিক করে অবশ্যই সেখানে যাব।” কিন্তু কেন তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা বিজেপির কর্মী সমর্থকদের বাড়ি পুড়িয়ে দিল!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে নিজেদের দিকে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির। এই ব্যাপারে তৃণমূল নেতা মনোজ রায় বলেন, “আমাদের দলের কেউ রবিবারের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বাইরের কিছু লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাদের ধারণা, তৃণমূলের বদনাম করতে বিজেপির গুন্ডাবাহিনী এই কাজ করেছে।” তবে বিজেপি অবশ্য পাল্টা এই ব্যাপারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “তৃণমূলের লোকজনই রবিবার আমাদের কর্মীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। তারা এখন আমাদের নামে মিথ্যা কথা বলছে। আমরা কেন আমাদের দলের লোকেদের বাড়িতে গিয়ে আগুন লাগাব, এটা কি কখনও সম্ভব!”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘটনা পদ্ধতি যেদিকেই যাক না কেন, যেভাবে পুলিশের বাধা পেয়ে বিজেপি সাংসদ রাস্তায় ধরনায় বসে পড়লেন, তা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন ঘটনা। এর ফলে জেলার পুলিশ প্রশাসন যে প্রবল চাপে পড়ল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!