এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > তৃণমূলের রাস্তা খোলা রাখতেই কি নিজের গড়ে বড় বার্তা মৌসম বেনজির নূরের? জল্পনা তুঙ্গে

তৃণমূলের রাস্তা খোলা রাখতেই কি নিজের গড়ে বড় বার্তা মৌসম বেনজির নূরের? জল্পনা তুঙ্গে


রাজ্যে সংগঠনকে বাচাতে তৃনমূলের সঙ্গে সমঝোতা করার পক্ষে প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে বারবার দাবি জানিয়ে এসছেন মালদার গনি পরিবারের দুই কংগ্রেস সাংসদ। কিন্তু প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর “না” এর কাছে কার্যত হার স্বীকার করতে হয়েছে তাঁদের। তবে রাজ্যে তা অধীরবাবুর বাধার কারনে না হলেও নিজেদের গড় মালদাতে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখালেন আবু হাসেম খান চৌধুরী এবং মৌসম বেনজির নুরেরা।

ইতিমধ্যেই জেলায় বিজেপিকে ঠেকাতে ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতে হাতে হাত ধরে লড়াই করছে কংগ্রেস এবং তৃনমূল। যার ফলে জেলার এক তৃতীয়াংশ পঞ্চায়েত দখলছাড়া হয়েছে বিজেপির। আর এইসবের মধ্যেই একদা কংগ্রেস গড় মালদার মাটিতে ইংরেজবাজারের কোতোয়ালি পঞ্চায়েতেও অটুট রইল তৃনমূল-কংগ্রেস জোট। সূত্রের খবর, এখানে  কংগ্রেসের প্রধান এবং তৃনমূলের উপপ্রধান নির্বাচিত হয়েছে।

জানা যায়, কোতোয়ালির এই পঞ্চায়েতেই আবু হাসেম খান চৌধুরী, মৌসম বেনজির নুরের দাদা ইশা খান চৌধুরীর বাড়ি। স্বাভাবিকভাবেই সেই মাটি থেকেই কংগ্রেস তৃনমূলের জোটে বোর্ড গঠন হওয়ায় অন্য রাজনৈতিক সমীকরনের ইঙ্গিত দিচ্ছেন অনেকেই। তবে কোতোয়ালিতে যখন তৃনমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যে এহেন ঐক্যের সুর ঠিক তখনই সেই সুর কেটে গিয়েছে এই জেলার হরিশচন্দ্রপুরে বিজেপির সাথে তৃনমূলের একটি পঞ্চায়েত গঠনকে কেন্দ্র করে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে একটি রিপোর্টও পাঠিয়েছে শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব।

তবে এত সবের মাঝেও কোতোয়ালি মডেলকে মুছে ফেলতে চাননা কেউই। এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা কংগ্রেস সভাপতি মৌসম বেনজির নুর বলেন, “জেলার সবখানেই আমরা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আটকাতে চেয়েছিলাম। কোতোয়ালিতে বিজেপি ছিল। তাই তাদেরকে আটকাতে কংগ্রেস ও তৃনমূল একসাথে বোর্ড গড়েছে।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃনমূলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “জেলায় 146 টির মধ্যে  124 টিতে আমরা বোর্ড গড়েছি। ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতগুলিতে কংগ্রেসের সাথে আমাদের সমঝোতায় বিজেপিকে আমরা রুখে দিয়েছি।” তবে কোতোয়ালিতে বোর্ড দখল করার চেষ্টা হলেও এই তৃনমূল কংগ্রেস সমঝোতায় সেই বোর্ড না পাওয়ায় হতাশ বিজেপির মালদহ জেলার প্রাক্তন সাধারন সম্পাদক অজয় মুখোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে নিজের গড় কোতোয়ালিতে যেভাবে তৃনমূলের সাথে জোট করে পঞ্চায়েত গড়লেন কংগ্রেসের মৌসম বেনজির নুর তাতে জেলার রাজনৈতিক ভবিষ্যত ঠিক কী হতে চলেছে তার দিকেই তাকিয়ে সব পক্ষ।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!