বোর্ড দখল করতেই গেরুয়া শিবিরের অস্ত্র নিয়ে মিছিল – তীব্র বিতর্ক শুরু রাজ্য জুড়ে মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য August 31, 2018 রামনবমী, হনুমান জয়ন্তীর নামে রাজ্যজুড়ে বিজেপির অস্ত্র মিছিল সবাই দেখেছে। ধর্মের নামে অস্ত্র নিয়ে মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করাই বিজেপির মূল উদ্দেশ্য বলে বারাবার গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্যে তোপও দেগেছে রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু ধর্মের নামে গেরুয়া শিবিরের সেই অস্ত্রপ্রদর্শন এবার পৌছে গেল নির্বাচনের বিজয়উল্লাসেও। সূত্রের খবর, মালদহের গাজোলের 15 টি পঞ্চায়েতের মধ্যে 9 টি তৃনমূল এবং 6 টি বিজেপি দখল করে। এদিন সেই গাজোলেরই রানিগঞ্জ 2 পঞ্চায়েতে বিজেপি সদস্যরা বোর্ড গঠন করলে তির, ধনুক, বল্লমের মত ধারালো অস্ত্র নিয়ে শুরু হয় বিজয়মিছিল। এখানেই অনেকের প্রশ্ন, এতকাল নির্বাচনে বিজয় উৎসব বলতে আবির খেলা ও খুব বেশি হলে বাজি ফাটাত বিভিন্ন জয়ী দলের সদস্যরা। কিন্তু রাতারাতি বিজেপির উথ্থানে সেই ট্র্যাডিশন পাল্টে গিয়ে বিজয় উল্লাসেও অস্ত্রের দাপাদাপি দেখে আতঙ্কিত অনেকেই। যা নিয়ে বিরোধী দলগুলোর চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এ প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করে মালদহ জেলা তৃনমূলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “বিজেপি জেলাতে আগুন লাগাতে চাইছে। কোনঠাসা হয়ে একটি পঞ্চায়েতেই জিতেই যেভাবে ওরা অস্ত্র নিয়ে মিছিল করছে তা দুর্ভাগ্যজনক। প্রশাসনের এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অন্যদিকে কংগ্রেসের মৌসম বেনজির নুর বলেন, “মালদহের সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করছে বিজেপি। এ কারনেই আমরা তৃনমূলের সাথে জোট গড়ে ওদের আটকে দিয়েছিলাম। মানুষকে সাথে নিয়েই আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ব।” রাজনীতিতে পেশিশক্তির প্রদর্শন দুর্ভাগ্যজনক বলে জানান বলে বিজেপির বিজয়মিছিলের নামে এই অস্ত্রপ্রদর্শনের চরম নিন্দা করেন মালদহ জেলা সিপিএমের সম্পাদক অম্বর মিত্র। তবে অস্ত্র নিয়ে কোনো মিছিল হয়নি আদিবাসীদের সংস্কৃতি মোতাবেক তির ধনুক রাখা হয়েছিল বলে জানান বিজেপির মালদহ জেলার প্রাক্তন সাধারন সম্পাদক অজয় গঙ্গোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে এবার বিজয় মিছিলেও অস্ত্র নিয়ে আসায় বিজেপির বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর সব দলই। আপনার মতামত জানান -