এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > ছিঃ ছিঃ ছিঃ! লন্ডনেও মমতার নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, মুখ ঢাকুক তৃণমূল! সোচ্চার বিজেপি!

ছিঃ ছিঃ ছিঃ! লন্ডনেও মমতার নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, মুখ ঢাকুক তৃণমূল! সোচ্চার বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি দিল্লি থেকে ফেরার সময় শুভেন্দু অধিকারী উপলব্ধি করেছিলেন যে, বাংলার যারা মানুষজন, যারা এখন বিদেশে থাকেন বা অন্য রাজ্যে থাকেন, তাদের মনে বাংলা নিয়ে কতটা আফসোস হচ্ছে! এই সরকার যেভাবে বাংলার মানুষকে যন্ত্রণা দিচ্ছে, তা দেখে প্রবাসী বাঙালিরা সত্যিই ঠিক থাকতে পারছেন না। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সেই কথা সকলের সামনে শেয়ার করতে গিয়ে এটা বলেছিলেন যে, তার সঙ্গে বিমানের এক সহযাত্রী আসছিলেন, যিনি এখন গুরগাঁওয়ে থাকেন, তার মুখ থেকে “এ কোন বাংলা!” শুনতে শুনতে তিনি কলকাতায় এলেন। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে, বাংলার যে জঘন্য পরিস্থিতি তৃণমূল করেছে, তা নিয়ে সকলেই বিরক্ত। আর শুভেন্দু অধিকারীর সেই কথা যে একেবারে বাস্তব, তা আজ আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়ে গেল। আজকে এই দেশে নয়, বিদেশের মাটিতে অর্থাৎ লন্ডনে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদে নামতে দেখা গেল প্রবাসী বাঙ্গালীদের। একেবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের নাম করে এখানকার নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন সেখানকার বাংলাভাষীরা।

সূত্রের খবর, আজ লন্ডনে সেখানকার প্রবাসী বাঙালিরা প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় নামেন‌। যেখানে সন্দেশখালির ঘটনাকে তুলে ধরে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন তারা। শুধু তাই নয়, অবিলম্বে যাতে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়, সেই দাবিও জানিয়েছেন লন্ডনে থাকা বাংলাভাষীরা। আর এখানেই সকলের প্রশ্ন যে, দেশের মাটি ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও এখন এই সন্দেশখালির ঘটনা আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কেন একবার সন্দেশখালিতে গিয়ে মূল সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তিনিও তো রাজ্যের মানুষ। শুধুমাত্র ক্ষমতা ভোগ করার জন্য এই ধরনের কাজকর্ম করলেও মূল অভিযুক্তকে কেন আড়াল করে রাখছে তার দলের নেতারা? আজকে লন্ডনের মাটিতে সেখানকার যারা বাসিন্দা, তারা এই প্রবাসী বাঙ্গালীদের পোস্টার দেখে বাংলার সম্পর্কে কি মনোভাব প্রকাশ করছেন! এটা কি অনুভব করেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী! যদি তিনি করতেন, তাহলে এতদিনে এই সন্দেশখালির ঘটনায় সাধারণ মানুষের যে দাবি, সেই দাবিকে প্রাধান্য দিয়ে শেখ শাহজাহানকে কলার ধরে ভেতরে ঢুকিয়ে দিতেন। কিন্তু তা না করে প্রতিমুহূর্তে এই বাংলাকে আরও কি করে নীচে নামানো যায়, সেই চেষ্টায় এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান করছেন বলেই দাবি একাংশের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এসব দেখে একটাই শব্দ বের হয়, সেটা হচ্ছে, ছিঃ। সত্যিই লজ্জা থাকলে মেরুদণ্ড থাকলে তৃণমূল নেত্রী এবং এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এতক্ষণ চুপ করে বসে থাকতে পারতেন না। আসলে রাজ্যের প্রতি তার তো কোনো মায়া নেই। তিনি এবং তার দল ক্ষমতায় এসেছেন ক্ষমতা ভোগ করার জন্য। রাজ্যের উন্নতি করার জন্য তো নয়। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দের এই সাধের বাংলাকে যে ক্ষতি করে দিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল, তা মেটাতেই পরবর্তী সরকারের বহুদিন সময় লাগবে। তাই রাজ্য ছাড়িয়ে, দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতে সন্দেশখালি নিয়ে যে প্রতিবাদ তৈরি হয়েছে, তাতে সত্যিই লজ্জিত গোটা বাংলা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!