এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > Big Breaking, ভোট মিটতে না মিটতেই গ্রেপ্তার তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, তীব্র শোরগোল রাজনীতি মহলে

Big Breaking, ভোট মিটতে না মিটতেই গ্রেপ্তার তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, তীব্র শোরগোল রাজনীতি মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোটের প্রথম দিনেই একেবারে সিঁদুরে মেঘ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের। জঙ্গলমহলে ভোট পর্ব শেষ হতেই এনআইএর হাতে গ্রেপ্তার হলেন ছত্রধর মাহাতো। জানা গেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ তাঁকে বারবার তলব করেছিল, কিন্তু একাধিক অজুহাত দেখিয়ে বারবার তলব এড়িয়ে গিয়েছিলেন ছত্রধর মাহাতো। এমনকি হাইকোর্টের নির্দেশ পর্যন্ত মান্য করেননি। শেষ পর্যন্ত, গতকাল রাতে গ্রেপ্তার হলেন জঙ্গলমহলের এক সময়কার মুকুটহীন সম্রাট ছত্রধর মাহাতো।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, একাধিক কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে ছত্রধর মাহাতোর। যার মধ্যে আছে সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতোকে হত্যা, জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে নাশকতা, রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণের চেষ্টার মতো ঘটনা। জানা গেছে সিপিএম নেতার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বেশ কয়েকবার এনআইএর পক্ষ থেকে তাঁকে তলব করা হয়েছিল, কিন্তু উপস্থিত হতে দেখা যায় নি তাঁকে। শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগেও তাঁকে ডাকা হলে, তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। জানিয়েছিলেন, ভোটের প্রচার কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে, যেতে পারবেন না তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত ১৬ ই মার্চ, ১৮ ই মার্চ, ২২ সে মার্চ এনআইএর পক্ষ থেকে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু উপস্থিতি দেখা যায়নি তাঁকে। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে উপস্থিত হবার জন্য কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছিল তিনদিন আগে। বলা হয়েছিল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপস্থিত হতে। তারপরও তিনি উপস্থিত হননি। এরপর গতকাল রাতে এনআইএর ৪০ জনের একটি বাহিনী শালবনীতে তাঁর বাড়ি পৌঁছে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

গত ২০০৯ সালের ১৪ ই জুন লালগড়ে সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতোকে হত্যা করা হয়েছিল। আবার সেই বছরই রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণের চেষ্টা হয়েছিল, সে বছরের শেষের দিকে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে নাশকতা চালানো হয়। এই সমস্ত ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ছত্রধর মাহাতোর। ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে বন্দী ছিলেন তিনি। গত বছর তিনি জামিনে ছাড়া পান। তবে তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর তৃণমূলে যোগদান করেন ছত্রধর মাহাতো। এরপর তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য হন তিনি।

গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে হাওয়া ঘুরিয়ে আনতে বিশেষভাবে সচেষ্ট হয় তৃণমূল। রাজ্য কমিটিতে স্থান দিয়ে বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হয় ছত্রধর মাহাতোকে। তাঁর ওপর ভর করেই জঙ্গলমহলে আবার ঘাসফুল ফোঁটাবার স্বপ্ন দেখে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তবে, গতকাল যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন ছত্রধর মাহাতো, এবার জল কতদূর গড়ায়? সেদিকে দৃষ্টি রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। একাধিক বিশ্লেষকদের দাবি, এই ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে। বলা যায়, একেবারে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে এ রাজ্যের শাসক দল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!