প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা ভাইরাসের কারণে এবার মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে গড় নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গড় নম্বরের পরিমাণ অনেকটাই বেশি হওয়ায় উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের পর কলেজে পছন্দের বিষয় পেতে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে আসন সংখ্যা সীমিত থাকার কারণে পছন্দের বিষয় নেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও, অনেক ছাত্র ছাত্রীরা সেই ইচ্ছা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন বলে দাবি করা হচ্ছে।

আর এই পরিস্থিতিতে কলেজে ভর্তি নিয়ে অভয় বার্তা দিতে দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। যেখানে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনরূপ সমস্যা হবে না বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারের যে দ্বৈরথ তৈরি হয়েছিল, সেই বিষয়ে মন্তব্য করতে দেখা গেল ব্রাত্যবাবুকে। যেখানে জাতীয় শিক্ষানীতিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। যাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের দ্বৈরথ আবার প্রকাশ্যে চলে এলো বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “এটা আসলে তুঘলুকি কাণ্ড কারখানা‌। শিক্ষা যুগ্ম তালিকাভুক্ত। অথচ জাতীয় শিক্ষানীতির বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই কেন্দ্র তার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী যেমন সব সময় আলোচনার বদলে একতরফা বক্তব্য দিতে পছন্দ করেন, শিক্ষানীতিতেও তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্র শিক্ষায় কেন্দ্রীকরণের চেষ্টা করছেন। এমফিল তুলে দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় পোর্টাল তুলে দেওয়া হচ্ছে। বুনিয়াদি শিক্ষার গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকার সময় তিনিও জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করতে শুরু করেছিলেন। আর তৃতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বদল হলেও গঠনগতভাবে তারা যে জাতীয় শিক্ষানীতির পক্ষে নয়, তা বুঝিয়ে দিলেন ব্রাত্য বসু।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্য সরকারের দ্বৈরথ তৈরি হতে দেখা যায়। আর এবার জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়েও রাজ্যের পক্ষ থেকে কেন্দ্রকে কড়া বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা না হওয়ার জন্য একদিকে যেমন ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, ঠিক তেমনই নম্বর পেয়ে ছাত্রছাত্রীরা আদৌ তাদের পছন্দের বিষয় পাবে কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। আর এই পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আসনের কথা তুলে ধরে কলেজে ভর্তি হতে যে কোনো সমস্যা হবে না, সেই কথা জানিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।