এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সংসদে বারবার শাসক-বিরোধী তরজা, বারবার সংসদ মুলতুবির কারণে বিপুল ক্ষতির মুখে দেশের সাধারণ মানুষ

সংসদে বারবার শাসক-বিরোধী তরজা, বারবার সংসদ মুলতুবির কারণে বিপুল ক্ষতির মুখে দেশের সাধারণ মানুষ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘ সময় ধরে এক প্রবাদ বাক্য সমাজে প্রচলিত আছে, যা হলো রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়। এখন হয়তো রাজা নেই, তাই রাজায়-রাজায় যুদ্ধ ব্যাপারটিও আর নেই। কিন্তু সংসদে শাসক ও বিরোধীদের প্রবল হট্টগোল ব্যাপক ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে দেশের সাধারন মানুষদের। জানা যাচ্ছে, বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার পর বারবার সংসদ অচল হয়ে গেছে। প্রায় প্রতিদিন লোকসভা ও বিধানসভার অধিবেশন ভেস্তে গেছে। যত পরিমাণ কাজ হওয়ার কথা ছিল, তার মধ্যে এখনো পর্যন্ত খুব সামান্য পরিমান কাজ হতে পেরেছে। যার ফলে এখনো পর্যন্ত ক্ষতি হয়েছে ১৩৩ কোটি টাকা। আর এই ক্ষতির মাশুল গুনতে হচ্ছে দেশের সাধারন করদাতাদের।

সম্প্রতি, কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে এই বিপুল ক্ষতির পরিমাণ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছে সর্বভারতীয় এক চ্যানেলে। যা থেকে বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। এই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, বাদল অধিবেশনে লোকসভায় যেখানে ৫৪ ঘন্টা কাজ হবার কথা ছিল, সেখানে মাত্র ৭ ঘন্টা কাজ হতে পেরেছে। আর রাজ্যসভায় যেখানে ৫৩ ঘন্টা কাজ হওয়ার কথা ছিল, সেখানে মাত্র ১১ ঘণ্টা কাজ হতে পেরেছে। অর্থাৎ মোট ১০৭ ঘণ্টা কাজ হবার কথা ছিল সংসদে। কিন্তু কাজ হতে পেরেছে মাত্র ১৮ ঘন্টা। বারবার অচলাবস্থা ও মুলতুবির কারণে নষ্ট হয়েছে এই বিপুল সময়। যার ফলে দেশের করদাতাদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১৩৩ কোটি টাকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কখনো পেগাসাস, কখনো পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে বারবার অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন ব্যাপক হট্টগোলের কারণে প্রধানমন্ত্রী কথা বলতে পারেননি। নতুন মন্ত্রীদের সঙ্গে পরিচয়ও করাতে পারেন নি। সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, বিরোধীদের হট্টগোলের কারণে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংসদে আলোচনা করা সম্ভব হয়নি। সংসদে বারবার অচলাবস্থা তৈরি করা হয়েছে। সংসদে এই বিপুল অর্থ নষ্ট হবার জন্য বিরোধীদের অভিযুক্ত করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

তবে, এই অভিযোগ বিরোধী শিবির মেনে নিতে একেবারেই নারাজ। এ প্রসঙ্গে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় জানিয়েছেন যে, ২০১০ সালে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন একদিনও চালাতে দেয়নি সে সময়কার বিরোধী বিজেপি শিবির। সেসময় কত টাকা নষ্ট হয়েছিল? সেই হিসেব কি পাওয়া যাবে? তখন বিজেপির হট্টগোলের কারণে সংসদে কত কোটি টাকা নষ্ট হয়েছে? তা আগে প্রকাশ করা হোক, দাবি করেছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, হট্টগোল হলো সংসদীয় গণতন্ত্রের অঙ্গ। এটা ভুলে গেলে চলবে না, সংসদ চালানোর দায়িত্ব হলো সরকার পক্ষের। তিনি অভিযোগ করেছেন, অধিবেশন চালানোর জন্য সরকার পক্ষের তরফ থেকে কোনো রকম সদর্থক চেষ্টা এখনো পর্যন্ত করা হয়নি। এভাবেই শাসক-বিরোধী তরজায় নষ্ট হচ্ছে বিপুল অর্থ। আর ক্ষতির বোঝা বইতে হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!