এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মুকুলকে নিলেও রাজীব- সোনালীদের নিয়ে কি সিদ্ধান্ত মমতার! সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য!

মুকুলকে নিলেও রাজীব- সোনালীদের নিয়ে কি সিদ্ধান্ত মমতার! সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  প্রায় চার বছর আগে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তৃণমূলের একসময়কার সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায়। অত্যন্ত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং দূরদৃষ্টি প্রবণ রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত মুকুল রায় হয়ত বা বুঝতে পেরেছিলেন, এবার রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে না। আর সেই কারণে কৌশলগতভাবে বিজেপির পক্ষ থেকে তাকে প্রার্থী করা হলেও, তিনি সেভাবে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের বাইরে বেরিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তেমনভাবে কোনো আক্রমনাত্মক মন্তব্য করেননি। আর তার এই পদক্ষেপ যে তাকে বড় সুবিধা করে দিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে বিচরণ করার ক্ষেত্রে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিজেপিতে তেমনভাবে কোনো জায়গা না পেয়ে শনিবার মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন মুকুল রায়। এদিকে এক সময় এই মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পরেই তার হাত ধরে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা থেকে শুরু করে বিধায়ক, এমনকি 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেও অনেক নেতা-নেত্রী টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছেড়ে মুকুল রায়ের সঙ্গে পরামর্শ করে যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে।

স্বাভাবিক ভাবেই তারা এখন ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়ে গিয়েছেন। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ভোটের আগে মুহূর্তে যারা দলের সঙ্গে গদ্দারি করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন, তাদের ব্যাপারে দল নমনীয় মনোভাব পোষণ করবে না। স্বাভাবিক ভাবেই মুকুলবাবু সেফসাইট হয়ে গেলেও, বিজেপিতে গিয়ে এখন রীতিমত চাপে পড়ে গিয়েছেন তৃণমূলের অনেক প্রাক্তন নেতা-নেত্রী।

কি করবেন তারা, কিভাবে তারা আবার তাদের পুরনো দলে ফিরে আসার পথকে প্রশস্ত করবেন, এখন তা নিয়ে রীতিমত সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন অনেক হেভিওয়েট। তবে শেষ পর্যন্ত যে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে বরফ যে অত সহজে গলবে না, তাই একপ্রকার পরিষ্কার। মুকুল রায়কে দলে গ্রহণ করলেও, অন্যান্যদের গ্রহণ করার ক্ষেত্রে যে অত্যন্ত কড়া ভূমিকা নেবে তৃণমূল নেতৃত্ব, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতীয় জনতা পার্টি এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পরেই বিজেপির অনেক নেতা নেত্রী বেসুরো মন্তব্য করতে শুরু করেন। ভোটের আগে যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তারা আবার তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সোনালি গুহ। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, ঠিক তেমনই তিনিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া বাঁচতে পারবেন না বলে তৃণমূল নেত্রীকে চিঠি দেন সাতগাছিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক।

তবে তাকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। পাশাপাশি সোনালী গুহর পথে হেঁটে তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেন অমল আচার্য থেকে শুরু করে সরলা মুর্মু, বাচ্চু হাঁসদা থেকে শুরু করে আরও অনেক হেভিওয়েট। অন্যদিকে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও বর্তমানে বেসুরো। কথায় কথায় 356 ধারা প্রয়োগ করলে চলবে না বলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

এমনকি সম্প্রতি তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। যার পরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও তৃণমূলের ফেরার পথ প্রশস্ত করতে চাইছেন বলে দাবি করছেন একাংশ। আর এই পরিস্থিতিতে মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই বিজেপিতে থাকা অন্যান্যরা তৃণমূলের ফিরে আসার ব্যাপারে আরও তৎপরতা দেখাতে শুরু করেছেন। তবে মুকুল রায় দলে যোগদান করার দিনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যান্যদের দলে ফেরানো নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তৃণমূল নেত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, মুকুল রায় নরমপন্থী। ভোটের আগে যারা চরমপন্থী হয়ে দলের বিরোধিতা করেছেন, তাদের ব্যাপারে কোনোমতেই দল নমনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে মুকুল রায় নরমপন্থী হলে চরমপন্থী কারা? তাহলে কি মুকুল রায়ের আগে ভোটে ভরাডুবির পর সোনালী গুহ থেকে শুরু করে অমল আচার্য, সরলা মূর্মু যারা দলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে চরমপন্থী? আর সেই কারণে তাদের দলে গ্রহণ না করলেও, প্রায় চার বছর আগে বিজেপিতে নাম লেখানো মুকুল রায়কে গ্রহণ করে দলবদলুদের বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী! রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলে শ্যাম এবং কুল রাখার চেষ্টা করলেন। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করলেন, মুকুল রায় ভোটের আগে সেভাবে দলের বিরুদ্ধে তেমন কোনো বিদ্রোহমূলক মন্তব্য করেননি। পাশাপাশি ভোটের আগে নয়, তিনি চার বছর আগে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। তাই তাকে এখন দল গ্রহন করেছে। কিন্তু যারা ভোটের আগে বিজেপির সঙ্গে যখন চরম পরিমাণে লড়াই হচ্ছে, তখন দলকে বিপদে ফেলে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন, তাদের ব্যাপারে দল ভাবনা চিন্তা করবে।

বলা বাহুল্য, ভরাডুবির পর বিজেপিতে যাওয়া নেতা-নেত্রীরা যখন আবার তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করতে শুরু করেছিলেন। আর তখন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাদের একাংশ দাবি তুলতে শুরু করেছিলেন, কোনোমতেই যাতে এই সমস্ত ব্যক্তিদের দলে গ্রহণ করা না হয়। আর এই পরিস্থিতিতে সেই সমস্ত নেতা-কর্মীদের আবেগে আঘাত লাগে, এমন কাজ কোনোমতেই করবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর সেই কারণে প্রায় চার বছর আগে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কার্যত নীরব থাকা মুকুল রায়কে ঘরে ফিরিয়ে নিলেও, অন্যান্যদের ব্যাপারে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না তৃণমূল নেত্রী। নরমপন্থী এবং চরমপন্থী বিভাজনে শেষ পর্যন্ত আরও বেশকিছু বিজেপিতে থাকা নেতা-নেত্রীদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলে গ্রহণ করতে পারেন বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছে। এখন সেই তালিকায় কারা কারা আছেন, মুকুল রায়ের পর বিজেপিতে যাওয়া কাদের গ্রহণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!