বাড়ি ফিরতেই খুন বিজেপি কর্মী, উত্তপ্ত অনুব্রত-গড়! বিজেপি মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য June 13, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেস স্লোগান তুলেছিল, খেলা হবে। আর নির্বাচনের পর যখন তৃতীয়বার তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে, তখন হিংসার ঘটনা বাড়তে শুরু করেছে। তাহলে কি এই হিংসাই তৃণমূলের “খেলা হবে” শ্লোগানের নামান্তর! এখন এই প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছে একাংশ। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির নেতা কর্মীরা ঘরছাড়া, আবার কেউ কেউ আক্রান্ত হয়ে কার্যত গৃহবন্দি। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বীরভূমে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন বীরভূমের এক বিজেপি নেতা। কিন্তু তারপরই তাকে পিটিয়ে খুন করা হয়। যাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হয়েছে কিনা, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় তিনমাস ধরে জেলে ছিলেন খয়রাশোল ব্লকের বিজেপির এ মন্ডল বুথের সহ-সভাপতি মিঠুন বাগদি। শনিবার জামিনে মুক্ত হন তিনি। আর তারপরই তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু যে ঘটনার কারণে তিনি এত দিন জেলে ছিলেন, সেই পরিবারের লোকেরা তাকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এরপরই আশঙ্কাজনক অবস্থায় এই বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করা হয়। তবে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। আর এই ঘটনার পর থেকেই রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ভোটের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় তাদের নেতা-কর্মীদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। মিঠুন বাগদির ওপর এই নির্মম আক্রমণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। যদিও বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হয়েছে। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, পারিবারিক গন্ডগোলের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, বাড়ি ফেরার পরই যেভাবে পিটিয়ে খুন করা হল এই বিজেপি নেতাকে, তাতে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত এই বীরভুম জেলা। যে বীরভুম জেলাকে নিয়ে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ তুলতে দেখা যায় বিরোধীদের। আর এবার সেই বীরভূমের খয়রাশোলে এই ধরনের ঘটনা গেরুয়া শিবিরের হাতে শাসক বিরোধীতার যে নয়া অস্ত্র তুলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, পুলিশি তদন্তে কি উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -