এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দেখ কেমন লাগে, ধর্মতলায় বিজেপির সভা হচ্ছেই! আদালতের নির্দেশে চুপসে গেলেন মমতা!

দেখ কেমন লাগে, ধর্মতলায় বিজেপির সভা হচ্ছেই! আদালতের নির্দেশে চুপসে গেলেন মমতা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-সিঙ্গল বেঞ্চে ধাক্কা খাওয়ার পরেও লজ্জা হয়নি রাজ্য সরকারের। তারা বিজেপির সভা আটকাতে শেষ পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল। যাতে ধর্মতলায় বিজেপির সভায় আদালত অনুমতি না দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেখানে যেভাবে ঠাস ঠাস করে থাপ্পর খেলো এই রাজ্যের সরকার, তাতে প্রমাণ হয়ে গেল যে, কেউ গণতান্ত্রিক অধিকারকে সুরক্ষিত না রাখলেও, রাজ্যে আদালত বলে, আইন বলে কিছু একটা বিষয় আছে। তাই যেখানেই গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ হবে, সেখানেই আইন আদালত হস্তক্ষেপ করবে এবং সেই গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার হতে বাধ্য। আজকে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের দিকে গোটা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের নজর ছিল। অবশেষে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিল যে, বিজেপি আগামী 29 নভেম্বর ধর্মতলায় বঞ্চিতদের নিয়ে যে সভার ডাক দিয়েছে, সেই সভার অনুমতি দেওয়া হলো। অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকেই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ।

প্রসঙ্গত, আগামী 29 নভেম্বর বিজেপির অনেক দিনের কর্মসূচি ছিল যে, তারা বঞ্চিতদের নিয়ে সভা করবে। এই তৃণমূল সরকারকে তারা দেখিয়ে দেবে যে, রাজ্যের প্রকৃত যারা সাধারণ মানুষ, যারা গরিব মানুষ, তাদেরকে কিভাবে এই শাসক দল ঠকিয়েছে। সেই মত করে তারা প্রস্তুতি নিয়েছিল। প্রথমে পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ফ্যাসিস্ট পুলিশ অনুমতি দেয়নি। পরবর্তীতে বিজেপি আদালতে যায়। সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে তারা নিজেদের সভা করার অনুমতি নিয়ে আসে। কিন্তু এতসবের পরেও শিক্ষা হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের। তারা বিজেপিকে আটকানোর জন্য আবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে চলে যায়। আজ সেখানেও যে ধাক্কাটা রাজ্য সরকার খেলো, তারপরে লজ্জা থাকলে আর বিরোধীদের সভা আটকানোর দিকে হাঁটবে না এই নির্লজ্জ প্রশাসন। অন্তত তাদের কাছ থেকে এটুকু আশা করা যায়।

ইতিমধ্যেই আদালত থেকে এই সভা করার অনুমতি পেয়ে রাজ্যকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, শিক্ষা হলো তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের! এটা জানাই ছিল যে, আদালত বিজেপির পক্ষেই রায় দেবে। কারণ বিজেপি অন্যায় কোনো আবদার করেনি। তাই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বুঝিয়ে দিল যে, এভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একতরফা নীতি এই রাজ্যে চলবে না। মুখের মত জবাব পেলেন রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী। এবার বিজেপির সভা হবেই। আর সেই সভা থেকে যারা প্রকৃত বঞ্চিত মানুষ, তারা এই তৃণমূল সরকারকে বিদায় জানানোর ডাক দেবেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার পুলিশকে দিয়ে বিজেপির এই সভা আটকানোর যে চেষ্টা করেছেন, তার পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন যে, বিজেপি যে সভা করবে, সেখানে তার চালাকির পর্দাটা ফাঁস হয়ে যাবে। প্রমাণ হয়ে যাবে যে, এই রাজ্যের সরকার মানুষের টাকা চুরি করে কিভাবে প্রকৃত প্রাপকদের সাথে বঞ্চনা করেছে! তার মধ্যে এই সভায় উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ফলে তিনি দিল্লিতে সেই তথ্য নিয়ে গিয়ে এই রাজ্য সরকারের চুরি আটকে দিতে আরও বড় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। তাই এতসব ভয় গ্রাস করার ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন, যাতে বিজেপির সভাটাই না হয়। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চেও এই রাজ্য সরকার থাপ্পড় খাওয়ার পর পুলিশ মন্ত্রীর ফ্যাসিস্ট মনোভাব দুমড়ে মুচড়ে শেষ হয়ে গেল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!