এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপিকে শেষ করার জঘন্য চেষ্টা মমতার, কবে শান্ত হবেন? ধুয়ে দিলেন শুভেন্দু!

বিজেপিকে শেষ করার জঘন্য চেষ্টা মমতার, কবে শান্ত হবেন? ধুয়ে দিলেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বিন্দুমাত্র লজ্জা এবং নীতিবোধ থাকলে একজন মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের হিংসাত্মক কথা বলতে পারেন না। যেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। সমস্ত সীমাকে লংঘন করে দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, তার দল চুরি করেছে, তাই তাদেরকে ধরা হয়েছে। তবে এবার তিনিও বিরোধীদেরকে ধরবেন। কিন্তু এই কাজ তো তিনি ক্ষমতায় বসার পর থেকেই করছেন। যারাই তার বিরুদ্ধে বিরোধিতা করবে, তাদেরকেই তিনি জেলে ঢুকিয়ে দেবেন। এতদিন তিনি এটা না বলে করেছেন। আর এবার বলে করবেন, এটাই যা পার্থক্য। কিন্তু এসব করে যদি ভাবেন যে, বিরোধী কণ্ঠস্বর বিজেপিকে আটকাবেন, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী ভুল করছেন। বিজেপির তরফে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তাতে তিনি আরও একটা জিনিস স্পষ্ট করে দিলেন যে, এই রাজ্যে বিরোধী শক্তিকে দমন করার জন্য প্রথম দিন থেকেই এসব করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তার এই ধরনের কথায় তারা মোটেই চিন্তিত এবং ভাবিত নয়। শুধু কি তাই? রাজ্যে নাকি টাকা নেই। অথচ কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিরোধী দলনেতা যাতে কথা বলতে না পারেন, তাকে যাতে জেলে ঢোকানো যায়, তার জন্য কতই না চেষ্টা করেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বদলার রাজনীতি বক্তব্যের প্রসঙ্গে রীতিমত তাকে ধুয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আর কত জেলে পুড়বেন? আজকেও তো পশ্চিমবঙ্গের জেলগুলোতে শুধুমাত্র বিরোধী নেতা কর্মীদের আটকে রেখেছেন। আমাকে জেলে ঢোকানোর জন্য এই রাজ্য সরকার বারবার আদালতে গিয়ে প্রায় 300 কোটি টাকার মত খরচ করেছে। কিন্তু সেখান থেকে বারবার হেরে এসেছে।” অর্থাৎ বারবার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা জিনিস স্পষ্ট করে দিচ্ছেন যে, বিরোধীদল বিজেপি যেভাবে চোখে চোখ রেখে কথা বলছে, তা তিনি হজম করতে পারছেন না। তার চুরিগুলো ধরে ফেলছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই তাকে আটকাতে হবে। আর সেই কারণেই এবার প্রতিহিংসার সুরকে নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আরও বেশি করে প্রতিষ্ঠা করে নিজের ফ্যাসিস্ট মনোভাবের পরিচয় দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। একজন মুখ্যমন্ত্রী, একজন পুলিশ মন্ত্রী কি করে এই ধরনের কথা বলতে পারেন? আসলে ক্ষমতা হারানোর ভয় তার মধ্যে গ্রাস করছে। তিনি চোখে অন্ধকার দেখছেন। তাই দিকভ্রষ্ট হয়েই এই ধরনের কথা বলছেন বলেই দাবি করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, যারাই বিরোধী শক্তি হিসেবে মাথা তুলবে, যারাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, তাদের বিরুদ্ধেই চলবে প্রতিহিংসা। তাদেরকেই জেলে ঢোকানোর চেষ্টা হবে। এটাই এতদিন ধরে করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার তিনি তা বলে দিলেন। অর্থাৎ আরও বেশি করে এই রাজ্যে প্রতিহিংসার রাজনীতি করবে শাসক দল, এটা তিনি স্পষ্ট করে দিলেন। তবে এইসব করে আর যাই হোক, তিনি মুখ বন্ধ করতে পারবেন না বিরোধী দলের। যে লড়াইটা তৈরি হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে, তা আগামী দিনে আরও দ্বিগুণভাবে বৃদ্ধি পাবে। মানুষ দেখতে চায়, পশ্চিমবঙ্গের কত জেল আছে, যেখানে প্রতিবাদীদের ভরে তাদের মুখ বন্ধ করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! তবে মেরুদণ্ডহীন প্রশাসনের পক্ষেই এমন সব কাজ করাই সম্ভব বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বিরোধী নেতাদের জেলে ঢোকানোর কথা বলে এমন একটা ভাব করছেন যেন, এতদিন তিনি কারও বিরুদ্ধে কোনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেননি। এমন একটা ভাব দেখাচ্ছেন যেন তার দলের নেতারা এমনি এমনি জেলে গিয়েছেন। তারা কোনো চুরি করেননি। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, চুরি করলেও তার দলের নেতারা সাধু। তাদেরকে জেলে ঢোকানো যাবে না। আর যদি কেউ তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়, তাহলে সেই সমস্ত দলের নেতাদের বিরুদ্ধেও তিনি পদক্ষেপ নেবেন। কিন্তু এসব বলে খেলা ঘোরানো যাবে না। আপনি যত খুশি পদক্ষেপ নিতে পারেন, কিন্তু বিজেপির কন্ঠ প্রতিবাদের কন্ঠ। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও তো অনেক কাজ করেছেন। অনেক কোটি কোটি টাকা খরচ করে তাকে জেলে ঢোকানোর চেষ্টা করেছেন। পেরেছেন কি? তাই এবারেও এই ধরনের কথা বলে যদি আপনি ভাবেন, বিজেপি ভয়ে গুটিয়ে যাবে, তাহলে ভুল করছেন। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!