এখন পড়ছেন
হোম > Uncategorized > পিসি ভাইপোর দিন শেষ? এবার ঠিকানা শ্রীঘর! প্রস্তুতির কথা বলে চমকে দিলেন শুভেন্দু!

পিসি ভাইপোর দিন শেষ? এবার ঠিকানা শ্রীঘর! প্রস্তুতির কথা বলে চমকে দিলেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একদিন কেন, আর এক সেকেন্ডও উচিত না এই সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেওয়ার। যে পরিস্থিতি এরা বাংলার করেছে, তাতে অবিলম্বে পিসি ভাইপোর এই দাপাদাপি বন্ধ হওয়া উচিত। বিরোধী দল থেকে শুরু করে রাজ্যের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের বক্তব্য এমনটাই। কিন্তু সব কিছুরই তো একটা পদ্ধতি থাকে। তাই বিরোধীদল যা করার করছে। পাশাপাশি প্রতিমুহূর্তে এই সরকারের দমবন্ধ করে দেওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হারেহারে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, চুরি করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। আর তিনি যে এই সরকারকে উৎখাত করবেন, সেটাও শুভেন্দু অধিকারীর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে শুরু করে বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর এবার একেবারে আইনজীবীদের সঙ্গে তার আলাপচারিতা, পিসি-ভাইপোর ভবিষ্যৎকে রীতিমতো প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিল। নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে, তাহলে কি এবার শেষের সময় চলে এল? ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার এক স্টেপ আগেই কি রয়েছে এই রাজ্যের শাসক দল?

প্রসঙ্গত, এদিন আইনজীবীদের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর এক বৈঠক নিয়ে তাকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন যে, “পিসি ভাইপোকে জেলে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। সবকিছু সাংবাদিকদের জন্যই নয়।” ছোট্ট মন্তব্য। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী একটা জিনিস স্পষ্ট করেছেন, আইনগত দিক থেকে এই সরকারকে প্যাচে ফেলতে এবং তৃণমূলের একদম উপরতলার নেতাদের টাইট দিতেই তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছেন। ফলে কোন বিষয়ে তিনি এবার পিসি-ভাইপোর বিড়ম্বনা বাড়াবেন, তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে রীতিমত কাঁপুনির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিরোধী দলনেতার এই ছোট্ট বক্তব্যেই বোঝা যাচ্ছে যে, তিনি এমনি এমনি আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেননি বা চা খেতে আসেননি। তার লক্ষ্য, তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা। যে দুর্নীতি হয়েছে, তা থেকে রাজ্যের মানুষকে পরিত্রাণ দেওয়া। তাই কিছু পদ্ধতিগত ব্যাপার থাকে, কিছু আইনের মারপ্যাচ থাকে। সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে একেবারে পিসি-ভাইপোর ক্ষমতাকে গঙ্গার জলে বিসর্জন দিতেই তিনি আবার একটা পদক্ষেপ নিতে চলেছেন। তবে কি সেই পদক্ষেপ, তা অবশ্য খোলসা করেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

বিজেপির দাবি, পিসি ভাইপোর ক্ষমতা শেষের মুখে। জেলে তো তাদেরকে যেতেই হবে। যে দুর্নীতি তারা করেছেন, একের পর এক মন্ত্রী যেভাবে জেলে যাচ্ছেন, তাতে সুপ্রিমো কিছু জানেন না, এটা কেউ বিশ্বাস করবেন না। তাই কয়লা, বালি, গরু, চাকরি দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, সব কিছুর মূল পাণ্ডাদের এবার গ্রেপ্তারি দরকার। রাজ্যের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষ যা চাইছেন, তা খুব তাড়াতাড়ি আসতে চলেছে। আর কিছুদিনের অপেক্ষা। তারপরেই রাজ্যে গণতন্ত্রের প্রকৃত উৎসব হবে। বিনাশ হবে এই অশুভ শক্তির বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী সেই বিরোধী দলনেতা, যিনি এই সরকারের সঙ্গে সেটিং না করে লড়ে যাচ্ছেন। তাকেও তো জেলে ভরার জন্য কম পরিকল্পনা এই সরকার করেনি। কিন্তু তিনি মানুষের দাবি নিয়ে লড়ছেন  তার জন্য কোনো ভয় নেই। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতেই তিনি ইঙ্গিত দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি কিছু একটা করতে চলেছেন। আর সেটা পিসি ভাইপোকে জেলে ঢোকানোর জন্যই। অর্থাৎ এমনি এমনি কেউ কাউকে জেলে ঢুকাতে পারে না। নিশ্চয়ই কোনো প্রমাণ বের করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, আর তাতেই শীতের আবহে ঘাম ছুটবে গোটা তৃণমূল দলের। তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে অত্যাচারী শাসকের এই সাজানো সংসার। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!