এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুরসভার দখল কিভাবে কার হাতে? তীব্র হচ্ছে শাসকদলের অন্দরমহলের ডামাডোল

পুরসভার দখল কিভাবে কার হাতে? তীব্র হচ্ছে শাসকদলের অন্দরমহলের ডামাডোল

 

নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া, হালিশহরের মত পৌরসভা যখন ফের দখল করতে শুরু করেছে তৃণমূল, তখন তৃণমূলের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলতে শুরু করেছে রঘুনাথপুর পৌরসভা। দীর্ঘদিন আগেই তৃণমূল পরিচালিত এই পৌরসভার চেয়ারম্যান ভবেশ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে দলের সাতজন কাউন্সিলর অনাস্থা আনেন। যার পরেই প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার দলের বিদ্রোহী কাউন্সিলরদের নিজেদের বাগে আনতে বৈঠক করল তৃণমূল কংগ্রেস।

সূত্রের খবর, শুক্রবার রঘুনাথপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ভবেশ চট্টোপাধ্যায় বিরুদ্ধে তৃণমূলের 7 কাউন্সিলর অনাস্থা জমা দিলে শনিবার এই ব্যাপারে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেই 7 জন কাউন্সিলরকে নিয়ে রঘুনাথপুরের একটি বেসরকারি লজে বৈঠক করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো এবং জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী মলয় ঘটক। কিন্তু কি হল সেই বৈঠকে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, একঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠকে মলয়বাবু দলের বিদ্রোহী কাউন্সিলররা যাতে অনাস্থা না আনেন, তার জন্য সকলের কাছে আবেদন করে। তবে মলয় ঘটকের সেই আবেদনকে মান্যতা দিলেও চেয়ারম্যানকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে বলে দাবি জানান সেই কাউন্সিলররা। কিন্তু এতে কি সমস্যার সমাধান হল!

এদিন এই প্রসঙ্গে মলয় ঘটক বলেন, “দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে 7 জন কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাবের স্বাক্ষর করেছিলেন, তারা সেই প্রস্তাব প্রত্যাহার করবেন। তাই অনাস্থার কোনো বিষয় থাকবে না।” পাশাপাশি আগামী 31 অক্টোবর এই পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং 7 কাউন্সিলরকে নিয়ে বৈঠক করা হবে বলেও জানান মলয়বাবু। তবে এই প্রসঙ্গে অনাস্থা প্রস্তাবে সই করা 4 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মদন বরাট বলেন, “বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। তবে আমরা চেয়ারম্যানের অপসারন চাই।”

কিন্তু তার বিরুদ্ধে কাউন্সিলররা যে অভিযোগ করছে, তা কি সত্যি! এদিন এই প্রসঙ্গে এই রঘুনাথপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ভবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাস্তাঘাট, পানীয় জলের মতো কিছু অভিযোগ তুলে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছিল‌। সেইমত এদিন বৈঠক হয়। বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে, মেনে নিয়েছি। দল অন্য কাউকে চেয়ারম্যান করলে মাথা পেতে নেব।” তবে রঘুনাথপুর পৌরসভায় অনাস্থা প্রস্তাব দলীয় কাউন্সিলররা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিলেও চেয়ারম্যান অপসারণ নিয়ে ঠিক কি সিদ্ধান্ত হয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকালে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!