হরিয়ানার সরকার নিশ্চিত হতেই প্যারোলে মুক্ত বিজেপি জোটসঙ্গী নেতার বাবা! শুরু তীব্র বিতর্ক জাতীয় October 27, 2019 গত 21 অক্টোবর হরিয়ানা বিধানসভার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এই নির্বাচনে বিজেপি জয়লাভ করলেও সরকার গড়তে যে ম্যাজিক ফিগার এর প্রয়োজন তা অর্জন করতে পারেনি তাঁরা। অন্যদিকে, এবারের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ম্যাজিক দেখিয়েছে 10 মাস আগেই গড়ে ওঠা দল জেজেপি। জেজেপির দুষ্মন্ত চৌতালা আক্ষরিক অর্থে এবারে হরিয়ানার কিংমেকার হিসেবে পরিচিত হলেন। হরিয়ানা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই বিজেপি পড়ে যায় চাপে। সরকার গড়ার জন্য নির্দল বিধায়কদের সমর্থনে জোর দেন তাঁরা। কিন্তু সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ জেজেপির দুষ্মন্ত চৌতালার সাথে বৈঠক করেন এবং তারপরেই দুষ্মন্ত চৌতালা বিজেপিকে সমর্থন জানান। আর সরকার গড়ার ম্যাজিক ফিগার বিজেপি খুব সহজেই আয়ত্তে আসে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা যদিও পায়নি বিজেপি, কিন্তু জেজেপি দলের সমর্থনে সরকার গড়ার জন্য প্রস্তুত হয় বিজেপি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে, হরিয়ানায় বিজেপির জোট শরিক জেজেপি হওয়ার পরেই আজ শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত দুষ্মন্ত চৌতালার বাবা অজয় চৌতালা তিহার জেল থেকে দুই সপ্তাহের ছুটি পেলেন। এই নিয়ে হরিয়ানা রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা দেখা গেছে। বিরোধীরা এই ঘটনায় তুমুল বিক্ষোভ জানিয়ে বলেছে, ক্ষমতার আশায় বিজেপি বরাবরই দুর্নীতির সঙ্গে আপস করে। এই প্রসঙ্গে বিতর্কিত নির্দল বিধায়ক গোপাল কান্ডার সমর্থন নিয়ে কথা উঠলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ মুখ খোলেন। তিনি জানান, ‘আমাদের প্রয়োজনীয় সমর্থন রয়েছে। তাই কান্ডার সমর্থন নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।’ এবারের নির্বাচনে ভোটের ফলাফল সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে প্রকাশ পেয়েছে। বিজেপি সরকার গড়তে সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোগাড় করতে পারেনি। নির্বাচনে হরিয়ানার অধিকাংশ মন্ত্রী হেরে গিয়েছেন। এ নিয়ে কংগ্রেসের বক্তব্য হল, হরিয়ানার ভোটে সেখানকার মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করেছেন, সে কথা স্পষ্ট। সবমিলিয়ে, হরিয়ানায় টানা দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করলেও, প্রথম থেকেই বিতর্কে জড়িয়ে গেল বিজেপি। বিশেষ করে যে দলের সমর্থনে সরকার গড়া গেল, তার পার্টি সুপ্রিমোর বাবার জেল-মুক্তি যেন বিরোধীদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিল। আর তাই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দ্বিতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রীত্ব মনোহর লাল ক্ষেত্রে কাছে কার্যত অগ্নিপরীক্ষা! একদিকে, জোট সরকার চালানোর চাপ – অন্যদিকে বিরোধীদের তীব্র আক্রমন, বিশেষ করে ‘দুর্নীতি’ নিয়ে। এই দ্বিমুখী চাপ সামলে, কিভাবে ৫ বছর কাটান তিনি, সেদিকেই এখন নজর সকলের। আপনার মতামত জানান -