এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > চরমে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! হেভিওয়েট সাংসদের অস্বস্তি তীব্র করে পাল্টা দু-দুটি কর্মসূচি!

চরমে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! হেভিওয়েট সাংসদের অস্বস্তি তীব্র করে পাল্টা দু-দুটি কর্মসূচি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট: –বিভিন্ন নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত হতে হয়েছে শুধুমাত্র তাদের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে। গত লোকসভা নির্বাচনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্যই বিজেপি হানা দিয়েছে তৃণমূলের ভোটব্যাংকে। যার ফলে অনেক আসন চলে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির দখলে। তবে সামনের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যাতে এই রকম কোনো গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনা না ঘটে, তার জন্য বারবার তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলা স্তরের নেতাদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমার কোনো লক্ষ্মন দেখা যাচ্ছে না। এবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর 2 ব্লকের মালিওর বাঁধের শিশাতলা থেকে কুমেদপুর বাইপাস পর্যন্ত নয় কিলোমিটার রাস্তার শিলান্যাস করতে গিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বিপাকে পড়লেন জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা সাংসদ মৌসম বেনজির নূর।

জানা যায়, এদিন এই একটি রাস্তা শিলান্যাসের জন্য তিনটি পৃথক পৃথক মঞ্চ তৈরি হতে দেখা যায়। যেখানে সরকারি উদ্যোগে একটি মঞ্চ তৈরি হলেও, বাকি দুটি মঞ্চ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়। যার মধ্যে একটি মঞ্চ তৈরি করেন স্থানীয় তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য মমতাজ বেগমের স্বামী আমিনুল হকের অনুগামীরা এবং অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্বামী আশরাফুল হকের অনুগামীরা আরও একটি মঞ্চ তৈরি করেন। স্বাভাবিকভাবেই সরকারি মঞ্চ থেকেই রাস্তা উদ্বোধন করা হলেও মৌসম বেনজির নূর দলের দুই গোষ্ঠীর দ্বিধা-বিভক্ত এই মঞ্চ দেখে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েন।

কিন্তু কেন এই ভাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দুটি বিবাদমান গোষ্ঠী নিজেদের নিজেদের মত করে মঞ্চ তৈরি করল? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় 9 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। আর তা নিয়েই 6 মাস আগে থেকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। যেখানে জেলা পরিষদের সদস্য মমতাজ বেগমের স্বামী আমিনুল হক অভিযোগ করেন যে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আশরাফুল হক কাটমানি না পেয়ে রাস্তার কাজে বাধা দিতে শুরু করেছেন। আর তারপর থেকেই এই দুই গোষ্ঠীর সমস্যা চরম আকার নিতে শুরু করে। এদিন সেই রাস্তা উদ্বোধনেও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের রাস্তাকেই বেছে নিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা এই বিষয়ে একে অপরের দিকে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য মমতাজ বেগম বলেন, “জেলা পরিষদের কাজ হলেও আমাকে কিছু জানানো হয়নি। জেলা পরিষদের কেউ এই অনুষ্ঠানে ছিলেন না বলে আমিও যাইনি। তাছাড়া আমন্ত্রণপত্রে আমার নাম ছিল না।” সত্যিই তো তাই! তিনি তো স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য. অথচ তাকে সেখানে ডাকা হয়নি কেন? তাহলে কি তিনি শুধুমাত্র দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হলেন?

তবে পরিস্থিতি সামলাতে ময়দানে নামতে দেখা গেছে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা সাংসদ মৌসম বেনজির নূরকে। এদিন তিনি বলেন, “এই রাস্তার মাধ্যমে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। তবে স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য মমতাজ বেগম কেন আসেননি, সেই বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌসম নুর যে কথাই বলুন না কেন, সামান্য রাস্তার উদ্বোধন নিয়েও যেভাবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল, তাতে মালদহ জেলা তৃণমূলের যে ভঙ্গুর অবস্থায় এখনও কাটেনি, তা কার্যত পরিষ্কার। এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে সামনের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কিভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে দলের অন্দরমহলে। সব মিলিয়ে রাস্তা উদ্বোধনকে কেন্দ্র করেও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর পৃথক পৃথক মঞ্চ দলকে ব্যাপক অস্বস্তিতে ফেলল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!