এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পদের “শর্তেই” অভিমান ভুলে আবার শাসকদলে সক্রিয় বিদ্রোহী হেভিওয়েট নেতা? তুমুল জল্পনা তৃণমূলেই

পদের “শর্তেই” অভিমান ভুলে আবার শাসকদলে সক্রিয় বিদ্রোহী হেভিওয়েট নেতা? তুমুল জল্পনা তৃণমূলেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট: পদ বড় বালাই! অন্তত তৃণমূলের ক্ষেত্রে তো তাই। এখানে পদ না থাকলে কারোর কোনো গুরুত্ব নেই বলে তৃণমূলের অন্দরমহলে কান পাতলেই শোনা যায়। আর এবার বহরমপুর পৌরসভার প্রশাসক পদ ফিরিয়ে দেওয়ার শর্তেই কি ধীরে ধীরে দলের সক্রিয় হচ্ছেন বহরমপুর পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপ্রধান নীলরতন আঢ্য? জানা গেছে, তাকে প্রশাসক পদে বসানো হবে, এই শর্তে রাজি হয়েই সম্প্রতি জেলা কো অর্ডিনেটর সৌমিক হোসেনের হাত ধরেছেন নীলরতনবাবু।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত লোকসভা ভোটের সময় এই বহরমপুর পৌরসভার প্রসাশক হয়েছিলেন অপূর্ব সরকার। আর তখন থেকেই নীলরতন আঢ্য বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করায় অস্বস্তিতে পড়েছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলাও হয়েছিল। আর এরপর থেকেই নিজেকে সমস্ত কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে শুরু করেন তিনি। তবে সম্প্রতি আবার পৌর প্রশাসক পদে তাকে জায়গা দেওয়া হবে বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়ার সাথে সাথেই ময়দানে নামতে শুরু করেছেন নীলরতন আঢ্য বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাহলে কি তাকে নিয়ে যে সমস্যা ছিল, তা মিটিয়ে ফেলল তৃণমূল? শুধুমাত্র পদের শর্ত দিয়ে দলে আবার সক্রিয় হতে শুরু করলেন নীলরতন আঢ্য? তাহলে কি তৃণমূলে পদই শেষ কথা বলে? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অরিত মজুমদার বলেন, “যতদূর জানি প্রাক্তন চেয়ারম্যানের প্রশাসক হিসেবে পৌরসভায় বসার কথা। সেই হিসেবে বহরমপুরেও প্রাক্তন চেয়ারম্যান বসার সম্ভাবনা আছে।” অন্যদিকে সৌমিক হোসেন বলেন, “আমার মতে নীলরতন আঢ্য উপযুক্ত ব্যক্তি। দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভা চালিয়েছেন। সব জায়গায় তো চেয়ারম্যানরাই দায়িত্বে। তাহলে এখানে আপত্তি কোথায়।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মুর্শিদাবাদ জেলায় সম্প্রতি সাংগঠনিক রদবদলের পর আবার নতুন করে জেলা সাজতে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে বহরমপুর পৌরসভার প্রাক্তন পৌর প্রধান ঠিকমত সক্রিয় না হওয়ায় তীব্র গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। তবে এবার তাকে দলের সক্রিয় করার ক্ষেত্রে তার পদ দেওয়ার ব্যাপারে শর্তে রাজি হওয়ার জন্য এবার তিনি আবার নতুন করে দলে সক্রিয় হতে শুরু করেছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশের প্রশ্ন, এতদিন এই নীলরতন আঢ্যর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। ফলে এখন যদি তিনি সেখানকার প্রশাসক পদে বসেন, তাহলে জনমানসে প্রশ্ন তৈরি হতে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই সামনের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের কাছে যদি এই ব্যাপারে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধীরা প্রশ্ন ছুড়ে দিতে শুরু করেন, তাহলে শাসকদল অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সত্যি সত্যিই বহরমপুর পৌরসভার প্রশাসক পদে নীলরতন আঢ্য বসেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!