এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ‘যা করতে হয় তা মুখে বলতে নেই!’ ফের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শুভেন্দুর, জল্পনা জিইয়ে রাখলেন যুবনেতা

‘যা করতে হয় তা মুখে বলতে নেই!’ ফের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শুভেন্দুর, জল্পনা জিইয়ে রাখলেন যুবনেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই তাকে নিয়ে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। দল এবং সরকারের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব বাড়িয়ে নিজের মত করে পথ চলতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীকে। স্বাভাবিকভাবেই তিনি দলবদল করতে পারেন বলে দাবি করছেন একাংশ। আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী কি করবেন, যখন তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে, ঠিক তখনই এই ব্যাপারে মন্তব্য করলেন সেই শুভেন্দুবাবু। যেখানে রামনগরে কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে কার্যত ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা গেল তাকে।

সূত্রের খবর, শনিবার রামনগরের বন্ধুমহল ক্লাবে কালীপুজোর উদ্বোধনে উপস্থিত হন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় শুভেন্দুবাবু বলেন, “আমায় অনেকে বলেছিলেন রামনগর নিয়ে বলতে। আমি তাদের বললাম যা করতে হয়, তা মুখে বলতে নেই। আর যা মুখে বলতে হয়, তা করতে নেই।”

স্বাভাবিকভাবেই তাকে নিয়ে জল্পনার মাঝেই তার এই ধরনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তাহলে কি করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী? যা আগেভাগে প্রকাশ করতে চাইছেন না তিনি! তাহলে কি বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী? এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

বস্তুত, এই রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির সঙ্গে অধিকারী পরিবারের সম্পর্ক কোনোকালেই ভালো ছিল না। বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে, তখন অখিল গিরি ক্রমশই শুভেন্দু অধিকারী অরাজনৈতিক সভা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন‌। আর এবার সেই অখিল গিরির খাসতালুকে এসে পূজার উদ্বোধন করে কার্যত ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা গেল রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীকে।

এদিন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কথা তুলে ধরে নাম না করে অখিল গিরিকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় অনেক বাহাদুরকে দেখা যায়নি। আর আজ তারা ফেসবুকে আমার নামে গালমন্দ করছেন।” স্বভাবতই জেলা রাজনীতিতে যখন অখিল গিরি শুভেন্দু অধিকারীর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তখন তার খাসতালুকে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের মন্তব্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দাবি করতে শুরু করেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অখিল গিরি। তিনি বলেন, “শুভেন্দু হতাশায় ভুগছেন। মন্ত্রীর স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছে।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী কি করবেন, তার ভবিষ্যৎ পন্থা কি হবে, তা এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের কাছে। আর এই পরিস্থিতিতে যেভাবে তাকে নিয়ে জল্পনার মাঝে কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে “যা করা হবে, তা আগেভাগে বলতে নেই” বলে মন্তব্য করলেন শুভেন্দুবাবু, তাতে নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে শাসকদলের অন্দরমহলে।

কেননা যদি সত্যি সত্যিই বিধানসভা নির্বাচনের আগে হঠাৎ করেই কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী, তাহলে তা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে অত্যন্ত চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কেননা শুভেন্দু অধিকারীর গোটা রাজ্যজুড়ে প্রচুর অনুগামী হয়েছেন। ফলে তিনি যদি দলবদলের মতো কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তার সাথেই হাঁটতে পারেন তৃণমূলের নেতা থেকে শুরু করে কর্মী-সমর্থকরা। যার ফলে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস সবথেকে বড় ধাক্কা খাবে বলে দাবি করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!