এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা নেতাদের নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া কি শুরু করে দিল অনুগামীরা?

শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা নেতাদের নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া কি শুরু করে দিল অনুগামীরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সবথেকে বেশি দেখা যাচ্ছে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী তথা তৃণমূলের শীর্ষনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। বিভিন্ন সভা সমিতিতে গিয়ে নিজের রাজনৈতিক জীবনের কথা তুলে ধরে দলের একাংশ নেতার বিরুদ্ধে নাম না করে সরব হতে দেখা যাচ্ছে তাকে। যাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। মনে করা হচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারী বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

এমত পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগেই আগামী 10 নভেম্বর শহীদ স্মরণে নন্দীগ্রামের গোকুলনগর হাইস্কুলের মাঠে সমাবেশ করার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। অনেকেরই দাবি, এই সমাবেশ থেকেই নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করবেন শুভেন্দুবাবু। স্বাভাবিকভাবেই এই সমাবেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। কিন্তু নন্দীগ্রামের শুভেন্দু অধিকারীর এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে এবার ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল।

জানা গেছে, এতদিন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নাম এই কর্মসূচির আয়োজন করা হত। কিন্তু এবার প্রথম তা গোকুলনগর হাইস্কুলের মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যেখানে এই প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি পদে রয়েছেন তৃণমূলের শেখ সুফিয়ান এবং যুগ্ম সম্পাদক পদে রয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আবু তাহের এবং এসইউসি নেতা নন্দ পাত্র। তবে এই সমাবেশের দায়িত্ব স্বদেশ দাস অধিকারীকে দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

যেখানে এখন অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে যে, দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শেখ সুফিয়ানকে এই সমাবেশের আয়োজনে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। একাংশ বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তার সম্পর্কের বনিবনা না থাকার কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বস্তুত, শনিবার শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের বিরোধিতা করতে দেখা যায় সেই শেখ সুফিয়ানকে। যার পরে শাসকদলের অন্দরমহলের ফাটল প্রকাশ্যে চলে আসে।

স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারী যেহেতু সভার ডাক দিয়েছেন, তাই তার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখা শেখ সুফিয়ানকে সেই সভার আয়োজনে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে বলছেন, তৃণমূলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে এমনিতেই জল্পনা চলছে। আর এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে যেভাবে শেখ সুফিয়ানকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না, তাতে একটা জিনিস স্পষ্ট যে, শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা এবার নিজেদের হাতেই এই সভার সমস্ত দায়িত্ব রাখতে চাইছেন। তাই শুভেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখা তৃণমূল নেতাকে কার্যত এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে তো সমস্যা আরও বাড়বে! এদিন এই প্রসঙ্গে ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাথ পাল বলেন, “প্রতিবছর 10 নভেম্বর শহীদদের স্মরণে সভা আয়োজনের দায়িত্ব ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির গোকুলনগর অঞ্চল কমিটির হাতে থাকে। এবছর সমাবেশ আয়োজনের দায়িত্ব তাদের হাতেই রয়েছে। আমরা দলীয় ভাবে সাহায্য করি। মঙ্গলবার প্রস্তুতি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে দলের নেতৃত্ব হিসেবে প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শেখ সুফিয়ানকেও ডাকা হয়েছে। যদিও বা এই প্রসঙ্গে শেখ সুফিয়ান বলেন, “বৈঠকে ডাক পেয়েছি। তবে বৈঠকের আগে এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা এই সমাবেশের দায়িত্ব নিজেদের হাতে রাখতে চাইছেন। আর তাই শেখ সুফিয়ানের মত শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতাকে কার্যত গুরুত্ব না দিয়ে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছেন “দাদার অনুগামীরা” বলে দাবি একাংশের। তবে এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের একশ্রেণীর নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব ক্রমশ বাড়তে শুরু করবে। যার ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সমস্যা আরও জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!