এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আগামী ৮ তারিখ থেকে ১০০% হাজিরা সহ খুলছে অফিস! প্রাণভয়ে আতঙ্কিত সরকারি কর্মীরা রাগে ফুঁসছেন

আগামী ৮ তারিখ থেকে ১০০% হাজিরা সহ খুলছে অফিস! প্রাণভয়ে আতঙ্কিত সরকারি কর্মীরা রাগে ফুঁসছেন


বাংলায় করোনার থাবা ক্রমশ জাঁকিয়ে বসছে – প্রাথমিকভাবে বাংলায় সেভাবে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ে নি। যদিও বিরোধীরা অভিযোগ করতে থাকেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নাকি করোনা সংক্রান্ত প্রকৃত তথ্য চেপে যাচ্ছেন। ফলে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র সরকার এক বিশেষ দল পাঠায় বাংলায়। আর তারপরেই রাজ্য সরকার নিজেদের ‘ভুল’ স্বীকার করে নেয়।

বাংলাতেও পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। আর তারপরেই বাংলায় মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মত নেমে আসে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আমপান। ফলে সামাজিক দূরত্ব শিকেয় তুলে সবাই প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। তার উপরে এখন বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। আর এই দুই জোড়া ফলায় আগামীদিনে বাংলায় করোনা সংক্ৰমণ হুহু করে বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই অবস্থায়, আজ সবাইকে খানিকটা অবাক করে দিয়েই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, আগামী ৮ ই জুন থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস ১০০% কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে যদি গাদাগাদি করে শ্রমিকদের ফেরানো হয়, তাহলে মন্দির-মসজিদ-গির্জা বা অফিস খুলতে অসুবিধা কোথায়? একই সঙ্গে তিনি গ্লাভস ও মাস্ক ব্যবহার করতে নির্দেশ দেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এহেন ঘোষণা শোনার পর রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা একদিকে যেমন প্রাণভয়ে কাঁপছেন, অন্যদিকে তেমনই রাগে ফুঁসছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে স্বাগত জানানো তো দূরের কথা আগামী দিনে প্রয়োজন হলে কার্যত ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণার কথা শোনা গেল তাঁদের মুখে। এদিন এই প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারী পরিষদের রাজ্য আহ্বায়ক দেবাশীষ শীলের সঙ্গে প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার তরফে যোগাযোগ করা হয়।

দেবাশীষবাবু রীতিমত ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান, আগামী ৮ই জুন থেকে রাজ্য সরকারী অফিস পুরোদমে খোলার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভালো কথা। কিন্তু দূরের জেলায় যাতায়াতের ট্রেন, লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের, মেট্রোও তাই। আর সবাই জানেন গণ-পরিবহনের দুটো বড় মাধ্যম হল লোকাল ট্রেন ও মেট্রো রেল। যদি লোকাল ট্রেন ও দূরবর্তী ট্রেন ১লা জুন থেকে চালু না হয়, তাহলে কর্মচারীরা যাদের লোকাল ট্রেন ও দূরবর্তী ট্রেন ভরসা – তারা কাজে যোগদান করবেন কি করে ?

দেবাশীষবাবু আরও বলেন, এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিছুই বলেন নি। দ্বিতীয়ত বাড়ি থেকে যাদের কর্মস্থলে যেতে বেশী সময় লাগে না, তারা না হয় বাসে আসবেন। কিন্তু বাস পারবে লোকাল ট্রেনের, মেট্রো রেলের অভাব মেটাতে? মুখ্যমন্ত্রী আজকে ঘোষণা করলেন, যে বাসে যত সিট আছে ততটাই লোক নেওয়া হবে। এতে সোশ্যাল ডিস্ট্যানসিং আদৌ বজায় থাকবে না। যতই মুখ্যমন্ত্রী বলুন না কেন প্রতিটি বাস যাত্রী বোঝাই হয়ে চলবে। যে রাজ্যে লকডাউন ব্যার্থ হয়, সেখানে আবার নিয়ম!

এরপরেই দেবাশীষবাবু বিস্ফোরকভাবে বলেন, আসলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই চান না নিয়ম মানা হোক! ফলে করোনা কোভিডের কমিউনিটি সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না, ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে তখন। শুধু সরকারী কর্মচারী নয়, সাধারণ মানুষেরও বড়ই আতঙ্কের কথা। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আগে কেন্দ্রের সাথে কথা বলে – লোকাল ট্রেন, দূরবর্তী জেলার ট্রেন ও মেট্রো রেল চলাচলের বিষয় সমাধান করুন। তারপরে পুরোদমে সরকারী দপ্তরে হাজিরা দেবার ফতোয়া জারী করুন। তা না হলে জীবন বিপন্ন করে কেউ আপনার ফতোয়া মানবে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!