শুভেন্দুর হাতে থাকা আরও এক দলীয় সংগঠন ভেঙে দিয়ে নতুন করে সাজাতে চলেছেন মমতা, জল্পনা দলেই মেদিনীপুর রাজ্য August 19, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য থেকে জেলা, মূল সংগঠন থেকে শুরু করে যুব সংগঠন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পর্যবেক্ষক পদ তুলে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর মত হেভিওয়েট নেতাকে কোর কমিটির সদস্য করে সন্তুষ্টির বার্তা দিয়েছে দল। কিন্তু এর ফলে শুভেন্দুবাবুর অনুগামীরা কিছুটা হলেও ক্ষিপ্ত। কেন তাঁর মত নেতা এভাবে অপ্রাসঙ্গিক করে রাখা হচ্ছে, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যার ফলে শুভেন্দু অধিকারীর পরবর্তী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। আর এবার শুভেন্দু অধিকারীর হাতে থাকা দলের সরকারি কর্মচারী সংগঠন সাজাতে উদ্যোগী হলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সোমবার দল এবং কর্মচারী নেতাদের উপস্থিতিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সরকারি কর্মচারী সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। যেখানে সুব্রত বক্সী থেকে শুরু করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত থাকলেও, এই কর্মচারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত নেতা তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কার্যত অনুপস্থিত ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই যে সংগঠনের দেখভাল করেন শুভেন্দুবাবু, সেই সংগঠনের বৈঠকে কেন তিনি অনুপস্থিত, তা নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, এদিন ফোনে সকলকে বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শুধু তাই নয়, এদিনের বৈঠক থেকে বেশকিছু রদবদল করা হয়। কর্মচারী সংগঠনের রাজ্য কমিটির মাথায় থাকা 3 আহ্বায়কের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। যেখানে আহ্বায়ক করা হয় দিব্যেন্দু রায়কে। এছাড়াও পরামর্শদাতা হিসেবে রাখা হয় সৌম্য বিশ্বাস এবং তপন গড়াইকে। কিন্তু এত বড় রদবদল করা হলেও সেই বৈঠকে কেন অনুপস্থিত থাকলেন শুভেন্দু অধিকারীর মত হেভিওয়েট নেতা? এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “দলের সব সংগঠনে রদবদল হচ্ছে। নেত্রীর পরামর্শ মত সরকারি কর্মচারী সংগঠনের নানা স্তরেও কিছু রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” তবে অনুপস্থিতি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতীতে সরকারি অনুষ্ঠান থেকে দলের অনুষ্ঠান, অনেক কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেছে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীকে। আর এবার যে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন তিনি নিজের হাতে সামলান, সেই সংগঠনের রদবদল এবং বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও, সেখানে অনুপস্থিত না থেকে কি কার্যত দলকে বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী! এখন তা নিয়েই বাংলার রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর এই বৈঠকে অনুপস্থিতি নতুন করে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো বিড়ম্বনা বাড়ায় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -