এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মাঝেরহাট বিপর্যয়ই কি ‘নিস্ফলাদের’ এল ঝলমলে ত্রিফলা হয়ে উঠতে সাহায্য করল?

মাঝেরহাট বিপর্যয়ই কি ‘নিস্ফলাদের’ এল ঝলমলে ত্রিফলা হয়ে উঠতে সাহায্য করল?


সমস্যা ব্রিজের, কিন্তু সমাধান হল আলোর। শুনতে বেমানান লাগলেও এটাই বাস্তব। অনেকেরই মনে এখন প্রশ্ন জাগতে পারে, কিসের ব্রিজ আর কিসেরই বা আলো? ব্যাপারটির রহস্য উন্মোচনে যেতে হলে কদিন পেছনে ফিরে যেতেই হবে।

সূত্রের খবর, গত বেশ কয়েকমাস ধরে মাঝেরহাট ব্রিজ এবং পোর্ট চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন সন্তোষ রোডে সরকারের উদ্যোগে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ লাগানো হলেও তা উধাও হয়ে যায়। পুরো এলাকা হয়ে পড়ে কার্যত আলোবিহীন। তবে শুধু এই রাস্তা নয়, কোলকাতায় এই ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ লাগানোর পর থেকেই গত ছয় মাসে অন্তত 500 থেকে 550 টি বাল্ব চুরি হয়ে গিয়েছে।

পুরসভার দাবি, বিগত কয়েক বছরে এই গোটা শহরে 12 হাজারের বেশি ত্রিফলা লাগানো হয়েছিল কিন্তু কোনোটাই আর সেই ত্রিফলা নেই। সবই একফলা বা দুফলায় দাড়িয়েছে। কোনোটার তো আবার ডান্ডাই নেই। এরপর সেই অচল ত্রিফলাকে সচল করতে পুরসভার নক্ষ থেকে 15 থেকে 20 লক্ষ টাকা বরাদ্দ করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টে পুরসভার বিরুদ্ধেই অনেকে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন।

অভিযোগ, 27 কোটি টাকার কাজকে 5 লক্ষ টাকার নীচে 540 টি ফাইলে ভেঙে এই ঠিকাদারদের বরাত দিয়েছে কোলকাতা পুরসভার বিদ্যুৎ দফতর। তাও ত্রিফলার আলো ফেরেনি কোলকাতা শহরে। গত মঙ্গলবার মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পরই তার পরিদর্শনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী যেই অংশ দিয়ে ব্রিজের ওপরের দিকে উঠছিলেন সেখানে এই ত্রিফলা বাতিস্তম্ভে কোনো আলোই ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী সেগুলো লক্ষ করলেও ব্রিজের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় থাকায় আর সেই ব্যাপারে কাউকে কিছু বলেননি। কিন্তু ভবিষ্যতে যে এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের মুখে পড়তে হবে তাঁদের সেই ব্যাপারে এক প্রকার নিশ্চিত পুর কতৃপক্ষও।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তাই এবারে সেই সন্তোষ রোডে বাতিস্তম্ভ লাগালো কোলকাতা পুরসভা। এখানেই অনেকে মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রী দৃষ্টি না দিয়ে এই এলাকা আলোবিহীনই থাকত। ব্রিজ ভাঙা দুর্ভাগ্যজনক হলেও এখন পথে আলো ফেরায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!