এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতা পুলিশের নির্লজ্জ কায়দা! দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল রাজ্য, সোচ্চার বিজেপি!

মমতা পুলিশের নির্লজ্জ কায়দা! দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল রাজ্য, সোচ্চার বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের শাসক দল পুলিশকে ব্যবহার করে বিরোধীদের কিভাবে কণ্ঠ রোধ করে, তা সকলেই দেখেছেন। সকলেই প্রত্যক্ষ করেছেন, কিভাবে বিরোধীদের সভা করতে দেওয়ার পরিস্থিতি থাকলেও, তা শেষ মুহূর্তে বাতিল করে দেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কারণ বর্তমানে এই রাজ্যে তৃণমূল দল এবং পুলিশ প্রশাসন এক হয়ে কাজ করছে। যার ফলে বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার করা থেকে শুরু করে যে সমস্ত সাংবাদিকরা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, তাদেরকে বাড়ি থেকে তুলে আনা, কোনো কিছুই করতে বাদ রাখেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। এখানে ধর্ষকরা সুরক্ষিত। যারা ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবেন, তাদের কাঁদিয়ে ধর্ষকদের বাড়ির সামনে পুলিশি প্রহরা দিতে দেখা যায় প্রশাসনকে। এই তো রাজ্যের পরিস্থিতি , এই সমস্ত অভিযোগ আমরা করছি না। রাজ্যে যে লাগাতার একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

আর এবার কামদুনির ঘটনা নিয়ে এমন এক ভয়ঙ্কর তথ্য দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, যা শুনে চমকে যাবেন সকলেই‌। যদিও বা এর আগেও এই কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তারপর অন্তত রাজ্য সরকারের লজ্জা হবে এবং সেই লজ্জাবোধ থেকে তারা সেই পুলিশ প্রোটেকশন তুলে নেবে বলেই মনে করা হয়েছিল‌। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেই দাবি বিরোধীদের। যার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন বিধানসভায় গোটা বিষয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন কামদুনির বিষয় নিয়ে সোচ্চার হন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যেভাবে কামদুনিতে অভিযুক্তরা বেকসুর খালাস হয়েছে এবং সুবিচার পায়নি মৃতার পরিবার, তাতে সেই যে সমস্ত অভিযুক্ত খালাস হয়ে গিয়েছে। তাদের বাড়ির সামনে পুলিশ প্রটেকশন দিয়ে রেখেছে এই রাজ্যের সরকার। তার অভিযোগ, এই রাজ্যে দুষ্কৃতীরা নিরাপদ। আর যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন, তাদেরকে পুলিশি হেনস্থা করা হচ্ছে। একাংশের দাবি, কামদুনির ঘটনায় সকলে সুবিচার পাবেন, এমনটাই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালতে সঠিক তথ্য প্রমাণের অভাবে যারা অভিযুক্ত, যাদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের দিকেই রায় দিয়েছে। যাদের দিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছিল, তাদেরকে আমৃত্যু কারাদণ্ড করা হয়েছে। আর যাদের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছিল, তাদের বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে প্রতিবাদী থেকে শুরু করে মৃতার পরিবার সকলেই ভেঙে পড়েছেন। তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।

কিন্তু এখানেই বিরোধীদের প্রশ্ন যে, রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা সঠিক তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি। যার ফলে খালাস হয়ে গিয়েছেন অভিযুক্তরা। কিন্তু তারপরেও যে নির্লজ্জ কায়দা এই রাজ্যের প্রশাসন প্রয়োগ করেছে, তাতে ধিক্কার জানাতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাদের একটাই বক্তব্য, আইনি লড়াই না হয় সুপ্রিম কোর্টে হবে। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে এত ভয়াবহ অভিযোগ, তাদের বাড়ির সামনে কেন পুলিশ প্রোটেকশন রয়েছে?বিজেপির দাবি, এই রাজ্য অপরাধীরা সুরক্ষিত। পুলিশের আজকে কোনো মেরুদন্ড নেই। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল দুষ্কৃতীদের নিয়ে পরিচালিত করছেন। সেই কারণে সেই দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দিতে পুলিশের নিরাপত্তা তাদের বাড়ির সামনে দেওয়া হচ্ছে। কামদুনির ঘটনায় তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। এই রাজ্যের সরকারের মেরুদন্ড ভেঙে গিয়েছে। রাজ্য দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সাধারণ মানুষের মধ্যে কামদুনির এই ঘটনা নিয়ে এমনিতেই একটা প্রশ্ন ছিল। এদিন শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তারপরে রাজ্য সরকারের সম্পর্কে তো বটেই, রাজ্যের পুলিশ সম্পর্কেও যে ধারণা ছিল রাজ্যের মানুষের, তা একেবারে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। দিনের শেষে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, এই রাজ্যের পুলিশ অপরাধীদের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারে না। তাহলে কি শুধুমাত্র কিছু ভোটব্যাংকের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ষকদের আড়াল করতে চাইছেন? তাদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করার জন্য নিজের পুলিশকে দিয়ে তাদেরকে পাহারা দিচ্ছেন, যদি তিনি এই চিন্তা ভাবনা নিয়েই এই কাজ করে থাকেন, তাহলে বড় ভুল করছেন। আগামী দিনে এর মারাত্মক খেসারত দিতে হবে এই শাসক দল এবং তাদের নেত্রীকে। শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!