প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য চতুর্থ দফা ভোট প্রায় শেষের মুখে। শুরু থেকেই আজকের ভোট রক্তাক্ত ছিল। দিনভর তোলপাড় হল শীতলকুচিসতে সিআরপিএফের গুলিতে চার জন তৃণমূল কর্মী নিহতের ঘটনা নিয়ে। অন্যদিকে আজকে অন্যান্য জায়গাতেও সকাল থেকেই উত্তেজনা চোখে পড়ে। যেমন চুঁচুড়ার বিজেপি প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জি প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন, তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে দিয়েছে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা, তাঁকে আহত করেছে। কিন্তু এদিন বেলা গড়াতেই তৃণমূল ভবন থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে একটি ভিডিও দেখানো হয়। 

যেখানে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ির ভেতর থেকে কেউ গাড়ির কাঁচটি ভেঙে দিচ্ছে। এবং এই ভিডিওটি নিমেষের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। যথারীতি এই ভিডিওটিকে সামনে রেখে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির মিথ্যাচারকে তুলে ধরা হচ্ছে বলেই দাবী বিশেষজ্ঞদের। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা এখনো পর্যন্ত প্রিয় বন্ধু মিডিয়া যাচাই করে দেখেনি। 

প্রসঙ্গত জানা গেছে, শনিবার সকালে পুজো দিয়ে একের পর এক বুথ দর্শন করতে থাকেন চুঁচুড়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জ্জী। তিনি অভিযোগ করেন, যখন তিনি 66 নম্বর বুথে পৌঁছান যেটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বলে পরিচিত, সেখানে ইভিএম এর কাছে এক মহিলা দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি পরিচয় জানতে চাইলে ওই মহিলা লকেটকে জানান, তিনি কোভিড ম্যানেজমেন্ট সদস্য।

ইভিএম মেশিনের কাছে কারোর দাঁড়ানোর অভিযোগে  বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রতিবাদ শুরু করেন। লকেট অভিযোগ করেছে, ছাপ্পা ভোটের বিষয়টি তিনি হাতেনাতে ধরে ফেলে ছিলেন বলেই তার ওপর হামলা করা হয় এবং ইটপাটকেল ছোড়া হয় ও তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে দিয়েছে।

 অন্যদিকে চুঁচুড়া কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মজুমদার পাল্টা অভিযোগ করেন, ভোট প্রভাবিত করতেই লকেট চট্টোপাধ্যায় গাড়ি ভাঙার নাটক করেছেন। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, সকাল থেকে উঠে বিভিন্ন বুথে গিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

লকেট চট্টোপাধ্যায় গাড়ির কাঁচ ভাঙা নিয়ে যে অভিযোগ করেছে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি ভিডিওর মাধ্যমে তা খন্ডন করার চেষ্টা চলছে। যদিও তা নিয়ে এখনো পর্যন্ত লকেট চট্টোপাধ্যায় কিংবা বিজেপির অন্যান্য কেউ কোনো মন্তব্য করেননি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিডিওর সত্যতা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে গেরুয়া শিবির পড়তে চলেছে চূড়ান্ত অস্বস্তির মুখে। সেক্ষেত্রে মানুষের কাছে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই।