করোনা পরিস্থিতিতে এবার বড়সড় দাবি নিয়ে মমতার ঘুম ওড়াতে চলেছেন রাজ্যের হাজার হাজার আশাকর্মী? মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য September 5, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি এই মুহূর্তে চরম আকার ধারণ করেছে। প্রায় প্রতিদিন রাজ্যজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় করোনার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের আশা কর্মীরা নিদারুণভাবে পরিশ্রম করে চলেছেন করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায়। কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য উৎসাহ ভাতা চালু করেছিলেন। কিন্তু তা যে আশাকর্মীদের মোটেই খুশি করতে পারেনি তা এদিনের ঘটনা থেকে পরিষ্কার। সাধারণত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে প্রাথমিকভাবে ডাক পড়ে বিভিন্ন পুরসভা বা পঞ্চায়েতের আশাকর্মীদের। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রশাসন রোগ মোকাবিলা করে। কিন্তু কাজ অনুযায়ী কোনো স্বীকৃতি বা টাকা তারা পাননা বলে দাবি করেন আশাকর্মীরা। আর সেই নিয়ে এদিন দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখানো হয় আশাকর্মীদের পক্ষ থেকে বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। আশাকর্মীদের চার দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বলে জানা গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই আশাকর্মীরা নিজেদের অধিকারের জন্য আন্দোলন চালাচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতিতে সর্বাঙ্গীন সুরক্ষা প্রদান এবং সম্পূর্ণ পারিশ্রমিকসহ একাধিক দাবি জানান এদিন আশা কর্মীরা। আশা কর্মীরা এ দিন জানান করোনা মোকাবিলায় প্রথম থেকেই তাঁরা কাজ করে চলেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় হেনস্থা হতে হচ্ছে তাঁদের। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে তাঁরা ঠিকমতন সুরক্ষা সরঞ্জামও পাচ্ছেন না। উপরন্ত বাড়তি কাজের চাপ দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন এদিন বিক্ষোভকারী আশা কর্মীরা। আশা কর্মীরা এদিন দাবি জানিয়েছেন, মাসিক বেতন 21 হাজার টাকা পরিশ্রমিক করতে হবে তাঁদের, বিধিসম্মত প্রশিক্ষণ ছাড়া করোনা মোকাবিলার কাজ জোর করে চাপানো চলবেনা এবং স্বাস্থ্য কর্মী হিসেবে তাঁদের স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। রাজ্যের বিশেষজ্ঞ মহল থেকে আশাকর্মীদের মাত্র সামান্য কয়েক হাজার টাকা উৎসাহ ভাতা হিসেবে নিয়ে বহুদিন আগেই আপত্তি জানানো হয়েছিল। আজকের দিনে সামান্য উৎসাহভাতা দিয়ে যে কিছুই হয়না তা জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। খুব স্বাভাবিক ভাবেই স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে যেভাবে আশাকর্মীরা আজ হাঁপিয়ে পড়ে কাজ করে চলেছেন, সে ক্ষেত্রে তাঁদের সামান্য কিছু মাসিক বেতনে কিভাবে দিন চলবে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আর এসবের মধ্যে আশাকর্মীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি অবশ্যই উল্লেখযোগ্য। তবে তাতে করে প্রশাসনের কোনো পরিবর্তন হয় কিনা, সে দিকেই এখন থাকবে নজর। আপনার মতামত জানান -