এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > নিজেদের ‘ফাঁদেই’ জড়িয়ে বিধানসভার আগে বিজেপিকে চেপে ধরার কথা ভুলতে বসেছে বিরোধীরা? জেনে নিন!

নিজেদের ‘ফাঁদেই’ জড়িয়ে বিধানসভার আগে বিজেপিকে চেপে ধরার কথা ভুলতে বসেছে বিরোধীরা? জেনে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চলতি বছরের শেষের দিকেই রয়েছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কেন্দ্রীয় সরকারকে জব্দ করার মতো, সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার করার মতো যথেষ্ট বিষয় বিরোধী দলগুলোর কাছে আছে। কিন্তু কংগ্রেসে সব কিছু থাকার পরেও তার সদ্ব্যবহার যেন করতে পারছে না। কেন্দ্রের চালে নাস্তানাবুদ হচ্ছে বারেবারে। কোনভাবেই জমছে না প্রচার।

বিরোধী পক্ষের অভিযোগ, ভারতের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। আইএমএফের মুখ্য অর্থনীতিবীদ গীতা গোপিনাথ এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, গত এপ্রিল থেকে জুন মাসে জি ২০ গোষ্ঠী ভুক্ত দেশ গুলির মধ্যে ভারতের জিডিপির অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। তিনি এক রেখাচিত্রের মাধ্যমে দেখিয়েছেন, গত এপ্রিল- জুন মাসে দেশের জিডিপি ২৩.৯ % সংকুচিত হয়েছিল। অন্যদিকে সরকারি পরিসংখ্যান মতে, গত ২০১৯ সালে সারাদেশে ১০ হাজারেরও বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।

এভাবে কেন্দ্রীয় দলকে চেপে ধরার অনেকগুলো সুযোগ থাকলেও কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার কৌশল করে দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থারর খবর গুলিকে ধামাচাপা দিয়ে যাচ্ছে। তারা পরিকল্পনা করেই সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তর খবর নিয়মিতভাবে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে রেখে দিচ্ছে। বিরোধী দলের অভিযোগ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা গুলিও নিয়মিতভাবে এর প্রচার করছে যা অতি দ্রুত সংবাদমাধ্যমে চলে আসছে। এ প্রসঙ্গে এআইসিসির জনৈক নেতার বক্তব্য, ” বাস্তবে খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, সিবিআই-ইডি সুশান্তর মৃত্যু বা তাঁর টাকা নয়ছয় নিয়ে তেমন নতুন কোনও তথ্য পায়নি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এ বিষয়েও জোর গলাতে প্রচার করতে পারছে না কংগ্রেস। কারণ, কেন্দ্রীয় দল বিজেপিকে চেপে ধরতে গেলেই, কংগ্রেসকে আবার চেপে ধরবে বিজেপি। কারণ, শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি সরকার বাহারের ভূমিপুত্র সুশান্তের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করে নি বলে বিহার বিজেপি ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ইতিপূর্বেই অভিযোগ করেছেন।

তবে আজ এই পরিস্থিতিতে সমস্ত রকম ভয়কে দূর করে আশ্চর্য রকম ভাবেই কংগ্রেসের তরফ থেকে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পদত্যাগ দাবি করা হলো দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণ দেখিয়ে। তাদের তোলা এই অর্থনৈতিক দুরবস্থা অভিযোগ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা সংক্রমনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই সম্প্রতি অর্থনৈতিক সংকট চলছে, শুধু ভারতের ক্ষেত্রে নয়।

তবে অর্থনীতিবীদ গীতা গোপিনাথ নির্মিত রেখা চিত্র তুলে ধরে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম জানালেন, “ এ বার আর কোনও জল্পনার অবকাশ রইল না। আমাদের অর্থনীতির অবস্থাই সবচেয়ে খারাপ।” অন্যদিকে ভারতের অর্থনৈতিক দুরবস্থা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে অভিযোগে কাঠগড়ায় তুলে কংগ্রেসের নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা জানালেন, ” আর্থিক সংস্থাগুলির আশঙ্কা সত্যি করে গোটা বছরে যদি জিডিপি-র ১১ শতাংশ সঙ্কোচন হয়, তা হলে এ দেশের মানুষের বছরে মাথাপিছু আয় ১৫ হাজার টাকা কমে যাবে।”

এ প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীও কেন্দ্রীয় সরকারকে ফের পুরনো নোট বাতিল প্রসঙ্গে অভিযুক্ত করলেন। তাঁর অভিযোগ নোট বাতিলের সময় দেশের কৃষক, মজুর, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে, কিন্তু কালোটাকার সমস্যার কোন সমাধান হয়নি, কিন্তু সরকার শুধু বৃহৎ শিল্পপতিদের মুনাফা বৃদ্ধি করেছে। এ প্রসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “ আমজনতা নোট বাতিলের পরে ব্যাঙ্কে যে টাকা জমা করেছিলেন, সরকার সেই টাকায়
কোটিপতিদের ঋণ মকুব করে দিয়েছে। ”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!