এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কোনো রক্ষাকবচ নয়, পিএ সুমিতকে নিয়ে প্রবল বিপাকে ভাইপো! আজই কড়া পদক্ষেপ? সরব বিরোধীরা!

কোনো রক্ষাকবচ নয়, পিএ সুমিতকে নিয়ে প্রবল বিপাকে ভাইপো! আজই কড়া পদক্ষেপ? সরব বিরোধীরা!

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– সাহেবের মত তিনিও ভেবেছিলেন, আদালতে গিয়ে হয়ত রক্ষাকবচ পেয়ে যাবেন। কিন্তু শেষমেষ শেষ রক্ষা হলো না। আদালত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, না। কোনো রক্ষাকবচ হবে না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্তসহায়ক সুমিত রায়ের। ফলে যত সময় যাচ্ছেহ ততই একটা প্রশ্ন প্রকট হতে শুরু করেছে, তাহলে কি এবার খোলা হাতে খেলা শুরু করে দেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি ইডির নোটিস পেয়েছিলেন এই সুমিতবাবু। তাকে জানানো হয়েছিল, সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে হবে। সেই মত তিনি আজ হাজিরা দিয়েছেন। কিন্তু তার আগেই তিনি তড়িঘড়ি আদালতে পৌঁছে গিয়েছিলেন, যাতে তার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কোনো পদক্ষেপ না নিতে পারে। কিন্তু সেখানে যে ধাক্কা খেলেন সুমিতবাবু, তাতে খুশি বিরোধী শিবির।

সূত্রের খবর, আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়কের আবেদন নিয়ে দীর্ঘ শুনানি হয়। আর সেখানেই বিচারপতি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে, তাকে কোনো রক্ষাকবচ দেওয়া হবে না। পাশাপাশি আগামী শুনানির আগে দুই পক্ষকেই হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এই নির্দেশ বর্তমানে যথেষ্ট অস্বস্তিকর সুমিতবাবুর কাছে। কারণ ইডির কাছে এখন সব দরজা খোলা। তারা যদি জেরায় কোনো উত্তর না পায়, তাহলে যে কোনো কড়া পদক্ষেপ সুমিতবাবুর বিরুদ্ধে নিতেই পারেন। আর তাকে গ্রেপ্তার করে নিলে তার সাহেব যে চাপে পড়বেন, তাতে বঙ্গ রাজনীতিতে ভূমিকম্প তৈরি হবে বলেই মনে করছে বিরোধী শিবির।

অনেকে আবার এটাও বলছেন, তদন্ত প্রক্রিয়াকে দ্রুত শেষ করতে হবে। তাই সেই কারণে একদম মূল জায়গায় পৌঁছাতে গেলে শাখা প্রশাখাকে জেরা করাটা খুব জরুরি। তার প্রক্রিয়ায় এখন শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারা একদম ঠিক জায়গায় ঘা দিয়েছে। তবে আদালতের পক্ষ থেকে তাদের আরও ফ্রি হ্যান্ড করে দেওয়ার কারণে তারা বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গেল। আর এটাই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে শাসকদলের মূল চালিকা শক্তির কাছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

বিরোধীদের দাবি, এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে একটা কড়া পদক্ষেপ নিতেই হবে। সবাই জানে যে, কারা দুর্নীতি করেছে। তাই জেরা করে বাড়ি পাঠিয়ে দিলে হবে না। হেফাজতে নিয়েই তদন্ত প্রক্রিয়ায় এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যার সাহেব এত বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু তদন্ত প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেন না, সেই সাহেবের বারোটা বাজাতে হলে তার অধস্থান কর্মচারীকে ধরেই এগিয়ে যেতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারা নাকি এক পয়সার দুর্নীতি পর্যন্ত করেনি। কিন্তু তাদেরকে ডাকলেও তারা সহযোগিতা করেন না। তবে এবার যখন ইডি খোলা হাত পেয়েছে, তখন তারা একটা মাস্টারস্ট্রোক পদক্ষেপ নিয়ে রাজ্যবাসীকে পুজোর উপহার দিক বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় ভাইপো মুখে অনেক বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু তিনি ভেবেছিলেন, তার মত তার পিএও রক্ষাকবচ পেয়ে যাবেন। তাতে তার বিরুদ্ধে আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকি তিনি যেসব দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, সেখানেও ইডি হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। কিন্তু আদালত যে রায় দিয়েছে, এভাবেই পিএর রক্ষাকবজের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে, আদালতে তিনি কানমলা খেয়েছেন, তাতে সর্বভারতীয় ভাইপোর মনেও এখন ধুকপুকানি শুরু হয়ে গিয়েছে। যদি আজকেই কেন্দ্রীয় সংস্থা বড় কোনো পদক্ষেপ নিয়ে নেয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে শনির দশা নাচছে সেই যুবরাজের কপালে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!