এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > গ্রেপ্তারির পালা শুরু ইডির, প্রবল ভয়ে তটস্থ মমতা? বাংলায় জোর আওয়াজ তুলছে বিজেপি!

গ্রেপ্তারির পালা শুরু ইডির, প্রবল ভয়ে তটস্থ মমতা? বাংলায় জোর আওয়াজ তুলছে বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ইডির ভূমিকা বারবার আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ছে। কেন ইডি কোনো একজনের ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতিও। যার জেরে বিরোধী দলগুলিও বলছে, এবার ডাকাডাকির পালা শেষ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কড়া পদক্ষেপ নিতেই হবে। আর এসবের মাঝেই আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতার করলো ইডি। যা দেখে বাংলাতেও তৃণমূল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হতে শুরু করেছে। তাদের দাবি, এবার হয়তো ইডি হাত খুলে খেলতে শুরু করেছে। বাংলাতেও খুব তাড়াতাড়ি এর প্রভাব দেখা যেতে পারে।

প্রসঙ্গত, আজ ইডির পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিংকে। আর সেই ঘটনার পরেই বাংলায় যে যুবনেতাকে নিয়ে এত বিতর্ক চলছে, তার বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ হবে বলে আশাবাদী বিরোধীরা। তারা বলছেন, বাংলায় শাসক দলের এক প্রভাবশালী নেতা এবং তার পরিবারকে ইতিমধ্যেই ডাকাডাকি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে এবার আর ডাকাডাকির পর্যায়ের মধ্যে আটকে থাকলে হবে না। সঞ্জয় সিংহের মত সেই প্রভাবশালী বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে বলেই দাবি একাংশের।

গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, বাংলায় এক যুবনেতা নিজেকে সততার প্রতীক বলে দাবি করেন। কিন্তু তাকে একাধিকবার জেরা করতে ডাকার সময় তিনি রক্ষাকবচ নিয়ে সেই জেরার মুখোমুখি হচ্ছেন। কিন্তু এবার আদালতেও হোঁচট খাচ্ছেন সেই যুবরাজ। তার সময় খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। খুব তাড়াতাড়ি আবার তাকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এবার তিনি রক্ষাকবচ না নিয়ে যদি সেই জেরার মুখোমুখি হন, তাহলে তাকে বড় চাপের মুখে পড়তে হবে। তবে এসব যদি সত্যিই ঘটে যায়, তাহলে রাজ্যের শাসক দলের প্রধান এখন থেকেই ভয়ে তটস্থ। মুহুর্তের মধ্যে সবকিছু ওলট পালট হওয়ার ভয় তৃনমূল নেত্রীর মনে মাথাচাড়া দিচ্ছে বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক বিষয়ে তদন্ত করছে। কিন্তু তারা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে হাত খুলে খেলতে পারছে না বলে নানা অভিযোগ এতদিন ধরে উঠেছিল। বিচার ব্যবস্থাও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকায় খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারছিল না। কিন্তু সেই ইডি নিজেদের হিম্মত দেখিয়ে দিল। আম আদমি পার্টির নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাই বাংলাতেও নিয়োগ দুর্নীতির পর্দাফাঁস হবে বলে আশ্বস্ত হচ্ছেন বিরোধী দলের নেতারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হয় ইডির পরবর্তী পদক্ষেপ পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে কতটা চাপের কারণ হয় রাঘব বোয়ালদের জন্য, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!