এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দিল্লিতে গা জোয়ারি তৃনমূলের! বঙ্গে বিজেপির সঙ্গে দেখা করার হিম্মত আছে তো মমতার? চাঁচাছোলা কটাক্ষ বিজেপির!

দিল্লিতে গা জোয়ারি তৃনমূলের! বঙ্গে বিজেপির সঙ্গে দেখা করার হিম্মত আছে তো মমতার? চাঁচাছোলা কটাক্ষ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেখা করেনি বলে কতই না অভিযোগ তৃণমূলের! তবে যত সময় যাচ্ছে, ততই তৃণমূলের এই অভিযোগের পর্দাফাঁস হয়ে যাচ্ছে। বিজেপির দাবি মন্ত্রীর সাথে যাতে দেখা না করতে হয়, তার জন্য নানা বাহানা দিয়েছে তৃণমূল। তাই শেষ পর্যন্ত তাদের সব দাবি মানতে পারেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যার কারণে সাক্ষাৎ করা সম্ভব হয়নি। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। যার জবাবে তৃণমূল হিম্মতের সহকারে কতটা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারবে, তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

প্রসঙ্গত, তৃণমূল দিল্লিতে অভিযোগ করেছে যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাদের সঙ্গে নাকি দেখা করেননি। তবে বিজেপি অবশ্যই এখানে পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেখা করতে রাজি ছিলেন জন্যই তিনি দপ্তরে তৃণমূলের জন্য অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু তৃণমূল একের পর এক শর্ত দিতে শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। প্রথমে বলেছিল, পাঁচজন দেখা করবে। তারপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তা মেনে নিলেও, তারপরে বলা হয়েছিল, আগে জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে। তারপর তাদের সাংসদদের সঙ্গে দেখা করতে হবে। মোটের ওপর তৃণমূলের দাবির আর শেষ হচ্ছিল না। যা শেষ পর্যন্ত মেনে নিতে না পেরে তৃণমূলের যে বিক্ষোভ চলছিল, তাকে হটিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। আর তাকেই ইস্যু করে তৃণমূল এখন ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে বলেই দাবি বিরোধীদের।

আর এই পরিস্থিতিতে সুকান্ত মজুমদার তৃণমূলের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “যদি 50 জন নিয়ে আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাই, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী দেখা করবেন তো? তার হিম্মত রয়েছে তো?”  বিরোধীদের দাবি, 50 জন তো দূরের কথা, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কিছুদিন আগে স্বাস্থ্য ভবনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে দিয়েছিলেন। সেখানে বিরোধী দলনেতাকে ঢুকতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। বিরোধী বিধায়কদের সঙ্গে যা ইচ্ছে তাই আচরণ করা হয়েছে। তাই তৃণমূল দিল্লিতে গিয়ে বড় বড় কথা বলতে পারে। নানা বাহানা দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে যাতে দেখা করতে না হয়, তার চেষ্টা করতে পারে।

কিন্তু বাংলায় তাদের প্রশাসন যে নির্লজ্জ ব্যবহার বিরোধীদের সঙ্গে করে, গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণের মত মুরোদ নেই। যদি সত্যিই তা হত, তাহলে এতদিনে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে সভ্য ব্যবহারটুকু করতে দেখা যেত এই তৃণমূল সরকারের প্রশাসনকে বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।পর্যবেক্ষকদের মতে, দিল্লির প্রশাসন আর বাংলার প্রশাসন যে এক নয়, তা দিল্লিতে গিয়েই বুঝে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদি তাই হত, তাহলে তাদের সভা করার অনুমতিটুকু প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হত না। কিন্তু প্রশাসন অনেক ধৈর্য রেখেছে। তৃণমূল বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে গিয়ে অনেক বিরোধী কথা বলেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিজেপি প্রশাসন দিয়ে তাদেরকে সরিয়ে দেয়নি। কারণ তারা গণতন্ত্রকে সম্মান করে। যা পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে দেখতে পাওয়া যায় না বলেই দাবি একাংশের। তাই যে তৃণমূল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না হওয়া নিয়ে এত বড় বড় কথা বলছেন, তারা বাংলার মাটিতে নিজেদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধী নেতাদের সাক্ষাতের সুযোগ করে দিতে পারবেন তো? সুকান্তবাবুর বক্তব্যের পর এই প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!