এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজভবন যান বা লন্ডন, টাকার হিসাব দিতেই হবে! ছাড় পাবেন না মমতা? স্পষ্ট ইঙ্গিত বিজেপির!

রাজভবন যান বা লন্ডন, টাকার হিসাব দিতেই হবে! ছাড় পাবেন না মমতা? স্পষ্ট ইঙ্গিত বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলার জন্য কত দরদ তৃণমূল নেতাদের! বাংলার মানুষ নাকি একশো দিনের কাজে টাকা পাচ্ছে না! সেই কারণে দিল্লিতে দু দিনব্যাপী কর্মসূচি করার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েও পারেনি তৃণমূল, এটাই তাদের অভিযোগ। কিন্তু সেই অভিযোগ কতটা সত্য, তা নিয়ে অবশ্য রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি চলছে শাসক বিরোধী দুই শিবিরের মধ্যেই। কিন্তু মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে না পেরে গ্রেপ্তার হওয়ার পর রাত্রিবেলা ছাড়া পেয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। তিনি বলেন যে, আগামী 5 তারিখ বাংলার মানুষের যে বঞ্চনা হচ্ছে, তার জন্য যে 50 লক্ষ্য চিঠি রয়েছে, সেই চিঠি নিয়ে তারা রাজভবন অভিযান করবেন। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দপ্তরে গিয়ে তারা মানুষের এই অভাব, অভিযোগের কথা জানাবেন। কিন্তু তৃণমূলের এই কর্মসূচি নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। অনেকে বলছেন, রাজভবন অভিযান করে লোক দেখানোর কাজ খুব ভালোই করতে পারবে তৃণমূল। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হবে না। তাদের উদ্দেশ্য কতটা সফল হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, এদিন তৃণমূলের রাজভবন কর্মসূচি নিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “রাজভবন যান আর যেখানেই যান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এত অজুহাত কেন! সেই প্রশ্নের জবাব দিক তৃণমূল।” তবে এসবের মধ্যেই বিজেপি অবশ্য দাবি করছে, রাজভবন যান কিংবা লন্ডন, টাকার হিসাব না দিলে কেন্দ্রীয় সরকার আর টাকা দেবে না। গ্রামীণ ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র টাকা দেবে, আর সেই টাকা নয়ছয় করবে রাজ্যের কেষ্ট বিষ্টুরা, তা বরদাস্ত করা হবে না। আর সেই কারণেই হিসেব দিয়ে টাকা নিয়ে যাক রাজ্য সরকার। দুর্নীতি যে হয়েছে, তা তো আজকে জলের মতো পরিষ্কার। তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেখা করতে চাইলেও, তৃণমূল অনেক বাহানা দিয়ে নানা দাবি সামনে এনে তার সঙ্গে যাতে দেখা করতে না হয়, তার চেষ্টা করেছে। শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে তাদের নাকি পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে, এই রকম নানা অভিযোগ তৃণমূলের নেতারা করছেন। যা হাস্যকর বলেই দাবি একাংশের।

বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলের লক্ষ্য একশো দিনের কাজের টাকা যাতে রাজ্যে ফেরে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কোনোভাবেই তৃণমূলের এই অন্যায্য দাবির কাছে মাথা নত করবে না। বাংলার মানুষ যাতে বঞ্চিত না হয়, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেবে, আর সেই টাকা নয়ছয় হবে, এটা তারা মেনে নেবে না। সেই কারণেই রাজ্য আগে হিসেব দেবে, তারপরেই তাদের টাকা দেওয়া হবে। তা না হলে রাজভবন যান আর যত বড়ই যুদ্ধক্ষেত্রে যান, নরেন্দ্র মোদীর সরকার কোনোভাবেই দুর্নীতি বরদাস্ত করবে না বলেই দাবি বিরোধ শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, দিল্লির মাটি থেকে বাংলার যুবরাজ অনেক বড় বড় ডায়লগ দিয়েছেন। এমন একটা ভাব তিনি করছেন যেন, তাদের রাজভবন চলো অভিযানে কেন্দ্রীয় সরকার মাথা নত করতে বাধ্য হবে। দুদিনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে একশো দিনের কাজের টাকা ঢুকে যাবে, আর সেই টাকা দিয়ে আবার রমরমা বাজার শুরু হয়ে যাবে তৃণমূলের নেতাদের। কিন্তু তৃণমূলের সেই ভাবনা যে ভুল, যুবরাজ যতই রাজভবন যান, কেন্দ্রীয় সরকার যে এত সহজে গলবে না, তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে বিজেপির একটি অংশ। তারা বলছেন, হিসাব না দিলে কোনোভাবেই পশ্চিমবঙ্গকে টাকা দেওয়া হবে না। আর দুর্নীতিকে বন্ধ করতে এটাই কেন্দ্রের অবস্থান বলেই দাবি পদ্ম শিবিরের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!