এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দিল্লিতে চরম নাটক, অবশেষে তৃনমূলের কীর্তি ফাঁস! ঘাসফুলকে তুলোধোনা গেরুয়া শিবিরের!

দিল্লিতে চরম নাটক, অবশেষে তৃনমূলের কীর্তি ফাঁস! ঘাসফুলকে তুলোধোনা গেরুয়া শিবিরের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে ধর্ণা দেওয়ার পর মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দাবি নিয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। মন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করতে রাজিও হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের একের পর এক অন্যায্য দাবি মানতে পারেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যার ফলে হই হট্টগোল করে পরিস্থিতিকে অশান্ত করে নিজেদের খবরের শিরোনামে আনানোর চেষ্টা করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বর্তমানে এমনটাই অভিযোগ করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাদের দাবি, ধীরে ধীরে দিল্লিতে ঠিক কি হয়েছে, সেই চিত্র স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তৃণমূলের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু প্রায় 40 জনের সঙ্গে কথা বলতে হবে, এইরকম একটা দাবি নিয়ে তৃণমূল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে গিয়েছিল। আসলে তাদের পর্দাফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়েই মন্ত্রী যাতে দেখা না করেন, তার জন্যই তৃণমূল এই ধরনের দাবি করে ময়দান থেকে পালাতে চেয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। আর সেই অভিযোগের সঙ্গেই তাল মিলিয়ে এবার তৃণমূলের কীর্তি ফাঁস করে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, এদিন তৃণমূলের উপর হামলা হয়েছে এবং পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ করছে তৃণমূল, তার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তৃণমূল খুব ভালো করে জানত যে, তারা যদি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এই বঞ্চনার দাবি নিয়ে, তাহলে মন্ত্রীর তথ্যের কাছে তারা পালিয়ে যাবে। তারা উলঙ্গ হয়ে যাবে। সেই কারণেই একের পর এক বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে যাতে দেখা করতে না হয়, সেই চেষ্টা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এটা তাদের ড্রামাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়। প্রথমে বলেছে, পাঁচ জনকে দেখা করতে দিতে হবে। তারপর মন্ত্রী তাতে রাজি হয়েছেন। তারপর বলেছে ছয় জনকে দেখা করতে দিতে হবে। তারপর মন্ত্রী রাজি হয়েছেন। তারপর বলছে, আগে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে, তারপর সাংসদদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এইরকম বিভিন্ন দাবি করে পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেছে তারা।”

আর বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। অনেকে বলছেন, যদি তৃণমূল নিজেদের বক্তব্যে সত্যতা আছে বলেই মনে করে, তাহলে চ্যালেঞ্জ করুক বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। প্রমাণ করে দিক যে, সুকান্ত মজুমদার যে কথা বলছেন, তা ভুল। শুধু সুকান্ত মজুমদার তো নয়। ইতিমধ্যেই যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেনি তৃণমূল বলে নানা অভিযোগ করছে এবং পুলিশ দিয়ে তাদের হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাকেও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন যে, তৃণমূলের সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি প্রায় আড়াই ঘণ্টা দপ্তরে বসে ছিলেন। আর একের পর এক এই ধরনের তথ্য আসার ফলে তৃণমূলের দিল্লিতে যে নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে, তাতে তারা চাপে পড়ে গেল বলেই দাবি সমালোচকদের।

গেরুয়া শিবিরের দাবি, তৃণমূল দিল্লিতে নাটক করে সিমপ্যাথি আদায়ের চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ধরা পড়ে যাচ্ছে। তাদের চালাকি দিল্লির মাটিতে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তৃণমূল ভেবেছিল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করে তারা বলবে যে, তাদেরকে দেখাই করতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু তৃণমূলের সেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার মত সৎ সাহস নেই। কারণ তাহলে তাদের কুকীর্তি ফাঁস হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বুঝিয়ে দেবেন যে, বাংলায় দুর্নীতি হয়েছে। তাই একের পর এক হট্টগোলের মধ্যে দিয়ে গোটা বিষয়টিকে ঘুরিয়ে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছেন তৃণমূলের যুবরাজ। তবে তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেল বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল এখন দিল্লিতে তাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে বলে বাংলায় আন্দোলনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে। তবে তারা পশ্চিমবঙ্গে যা খুশি করতে পারে। কিন্তু দিল্লিতে যেভাবে তাদের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, তা যদি পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল বিরোধীদের দিত, তাহলে বাংলায় শাসকের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ উঠত না। কিন্তু এতসবের পরেও ঘাসফুল শিবিরের শিক্ষা হবে না বলেই দাবি একাংশ। তারা মিথ্যার উপর ভিত্তি করেই যে রাজনীতি করছে, সেটাকেই জারি রাখবে। কিন্তু তাদের সেই মিথ্যা, যা তারা দিল্লির মাটিতে নাটকীয়তার বেড়াজালের মধ্যে আটকে রাখার চেষ্টা করেছে, তার পর্দা অবশেষে ফাঁস হয়ে গেল। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!