এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > টাকার বিনিময়ে অঙ্গনওয়ারিতে নিয়োগ হয়েছে? সামনে এল বিস্ফোরক অভিযোগ

টাকার বিনিময়ে অঙ্গনওয়ারিতে নিয়োগ হয়েছে? সামনে এল বিস্ফোরক অভিযোগ


রাজ্য সরকারের কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে উঠলো বড় সড় দুর্নীতির অভিযোগ – এবার, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ উঠলো। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের কান্দি ব্লকে। ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে এক উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্তার ওপরে। জানা যাচ্ছে তিনি অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ করতেন।

প্রসঙ্গত, এই ব্লকে গত ১১ বছর ধরে শিশুবিকাশ প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ছিলেন আকবর আলি খান। তাঁর বিরুদ্ধেই ভুঁয়ো নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এখন পর্যন্ত তিনটি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি পাওয়া গিয়েছে। বাকিগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট ব্লকের ১৮২ নম্বর জিয়াদারা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শতরূপা প্রধান, ১৫৩ নম্বর মহালন্দী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ফিরদৌসি বেগমকে সহায়িকা পদে আকবর আলি খান অসাধু উপায়ে নিয়োগ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাক্রমে সম্প্রতি আকবর আলি খান বদলি হয়ে যান। তাঁর পরিবর্তে ঐ পদে দেবাশিস দাস নামক জনৈক প্রশানিক কর্তা নিযুক্ত হয়েছেন। তিনিই নিজের দায়িত্ব ভার বুঝে দেখার সময়ে পুরনো নথিপত্র ঘাঁটতে গিয়ে দেখেন সরকারি নথিতে উল্লিখিত তথ্যে প্রচুর অসামঞ্জস্য রয়েছে। এরপরে মহাকুমা শাসককে তিনি সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেন। শুক্রবার খোদ কান্দির মহকুমাশাসক অভীক দাস এই ঘটনার তদন্ত করে বিষয়টি হাতে নাতে পাকড়াও করেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

ইতিমধ্যেই, পূর্ববর্তী প্রকল্প আধিকারিক আকবর আলি খানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবশ্য ঘটনার দায় সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত আকবর আলি খান। তবে এদিন মহাকুমা শাসক জানালেন অভিযুক্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের পরে অভিযোগ প্রমাণ হয়ে গেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্বাভাবিকভাবেই, এই দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় স্থানীয় মহলে রীতিমত শোরগোল পরে গেছে।

মহকুমা শাসক অভীক দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, “প্রাক্তন ওই প্রকল্প আধিকারিকের বিরুদ্ধে অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পে নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগ আমার কাছে জমা পড়ে। আমি তা খতিয়ে দেখি। জানতে পারি অভিযোগ সত্য। অভিযুক্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানানো হবে। বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। যাঁদের ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল তাদের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হবে”।

অন্যদিকে অভিযুক্ত আকবর আলি খানের গলায় পাওয়া গেলো অন্য সুর। তিনি জানান, মানবিকতার খাতিরে নাকি তিনি এমন কাজ করেছিলেন। শুধু তাই নিয় এছাড়াও তিনি আশ্বাস দিলেন যে এতদিন পর্যন্ত যে পারিশ্রমিক ওই মহিলারা পেয়েছেন তা অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ফলে, সবমিলিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিয়োগে এই দুর্নীতি নিয়ে রীতিমত চাপান-উতোর শুরু হয়ে গেছে স্থানীয় মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!