এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চার জনপ্রতিনিধিকে বহিষ্কার তৃণমূলের, বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাতের অভিযোগ! গুঞ্জন শাসকদলে!

চার জনপ্রতিনিধিকে বহিষ্কার তৃণমূলের, বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাতের অভিযোগ! গুঞ্জন শাসকদলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  অনেকদিন আগে থেকেই বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ ছিল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের কারণে এই ব্যাপারে সেই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে উদ্যত হয়নি শাসক দল। কিন্তু নির্বাচন পেরিয়ে যাওয়ার পরেই এবার চার হেভিওয়েট জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিল তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকার কারণে এবার ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হল দক্ষিণ 24 পরগনা কাকদ্বীপ মহকুমার পাথরপ্রতিমা ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির শাসকদলের চার প্রতিনিধিকে।

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরমহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তৃণমূল যে আর কোনোমতেই দল বিরোধী কাজের অভিযোগ পেলে বিন্দুমাত্র রেয়াত করবে না, তা এই ঘটনা থেকেই পরিষ্কার হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল, পাথরপ্রতিমা ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের চার সদস্য বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা শুরু করেছেন।

এক্ষেত্রে বিজেপিকে এই পঞ্চায়েত সমিতি তুলে দেওয়ার জন্য তারা প্রতিমুহূর্তে কাজ করছেন বলে অভিযোগ এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। তবে অবশেষে এই ব্যাপারে নিজেদের চার জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তৎপর হল ঘাসফুল শিবির। জানা গিয়েছে, খোকন দাস, স্বপন গিরি, অপূর্ব দাস এবং রিতা গিরির বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজের অভিযোগ এনে তাদের বরখাস্ত করল তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এই প্রসঙ্গে পাথরপ্রতিমা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা বলেন, “দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ চার নেতাকে দল থেকে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হচ্ছে। এরা সকলেই নির্বাচনের সময় থেকেই বিরোধী দলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। এমনকি নির্বাচনের সময় দলের কোনো কাজে তাদের দেখা যায়নি। নির্বাচনের সময় থেকেই তাদের ওপর নজর রাখা হয়েছিল। বারবার সতর্ক করা হয়েছিল। এমনকি বৈঠকেও কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। তাই দল এইরকম কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

এদিকে চার নেতা-নেত্রীকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত তৃণমূল গ্রহণ করতেই শাসক দলকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নিজেদের নেতা-নেত্রীদের ওপরেই ভরসা নেই তৃণমূল কংগ্রেসের। এই ঘটনা থেকেই তা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, তৃণমূল আর কোনোমতেই দল বিরোধী কাজকে বরদাস্ত করতে চাইছে না। আর সেই কারণেই অভিযোগ পাওয়ার পরেই এইরকম কড়া পদক্ষেপ নিয়ে অন্যান্য দলের মধ্যে থাকা বিদ্রোহীদের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল ঘাসফুল শিবির বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!