এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাংলা হবে মমতা মুক্ত! লোকসভার আগেই বড়সড় মাস্টার স্ট্রোক শুভেন্দুর!

বাংলা হবে মমতা মুক্ত! লোকসভার আগেই বড়সড় মাস্টার স্ট্রোক শুভেন্দুর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-   বিরোধী নেত্রী থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বামেদের সঙ্গে কোনো আপসের রাজনীতি না করে লড়াই করেছিলেন, বর্তমানে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করতে একই কায়দায় লড়াই আন্দোলন করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কোনোরকম সেটিং না করে একেবারে তৃণমূল সরকারের চুরির পর্দাফাঁস করছেন তিনি। নিজের এজেন্ডা স্পষ্ট করে শুভেন্দুবাবু বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তার লক্ষ্য একটাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরানো। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আঞ্চলিক দল তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেত্রী অবশ্য সেই লোকসভায় নাকি শুধুমাত্র বাংলা থেকেই আসন নিয়ে গিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন, এমন একটা বাসনা তার মনের মধ্যে রয়েছে। তবে লোকসভায় বাংলাতেই তৃণমূলকে কাবু করতে এখন থেকেই জমি শক্ত করতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিভিন্ন জায়গায় প্রত্যেকদিন বিজয়া সম্মেলনীর শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে সভা সমিতি করে শুভেন্দু অধিকারী যে পরিশ্রম করছেন, তা বিরোধী দলগুলোর কাছে সাধুবাদ জানানোর মত। রাজ্যে তো অনেক বিরোধী দল রয়েছে। এর আগেও তো তৃণমূল সরকারের আমলে অনেক বিরোধী দলনেতা ছিলেন। কিন্তু কেউ এত জোর গলায় এই স্লোগান রাজ্যবাসীর কাছে তুলে ধরতে পারেননি। তবে শুভেন্দু অধিকারী সেই কাজটা করে দেখালেন। তিনি একেবারে স্লোগান দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরম বিড়ম্বনার মুখে ফেলে দিলেন। প্রত্যেকদিনই অবশ্য শুভেন্দুবাবুর বক্তব্যে বিভিন্ন চমক থাকে। কিন্তু এদিনের চমকও কোনো অংশে কম ছিল না।

প্রসঙ্গত, এদিন একটি কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর সেখানেই তিনি জোর গলায় আওয়াজ তোলেন, “লোকসভার আগে সমস্ত ফাঁকা করতে হবে। সব চোর গুলোকে তুলতে হবে। শিক্ষা জেলে গেছে, খাদ্য গেছে জেলে। এবার স্বাস্থ্য যাবে জেলে। মমতা মুক্ত বাংলা গঠন করতে হবে।” অর্থ্যাৎ শুভেন্দুবাবুর লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য পরিষ্কার। তিনি চাইলেই এই তৃণমূল সরকারের সঙ্গে সেটিং করে নিতে পারতেন। তার এত প্রতিবাদ করার কোনো দরকারই ছিল না। কিন্তু একটা বৃহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি লড়ছেন। রাজ্যের আগামী প্রজন্মকে সুশাসন দিতেই তার এই লড়াই। তাই সেটিং না করে একেবারে চোখে চোখ রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তাকে উৎখাত করার বার্তা দিয়ে রাজ্যের মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেন বিরোধী দলনেতা।

বিজেপির দাবি, কাউকে একজনকে তো বেড়ালের গলায় ঘন্টাটা বাঁধতে হবে। শুভেন্দু অধিকারী সেই কাজটাই করছেন। বামফ্রন্ট আমলে তাদের মৃত্যু ঘন্টা বাজিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তৃণমূলের মৃত্যু ঘণ্টা বাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাই আগামী দিন নিজের পতন দেখার জন্য তৈরি হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দু অধিকারীর কাছে তিনি একবার হেরেছেন। এবার তার গোটা দল এবং সরকারকে রাজ্য থেকে উৎখাত করে রাজনৈতিক ভাবে বঙ্গোপসাগরে ফেলবে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই নিজের চোখের সামনে নিজের পতন দেখার জন্য এখন থেকেই তৈরি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এটা নতুন করে বলতে হবে না যে, তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ কথা। তিনি ছাড়া এবং তার অনুমতি ছাড়া তৃণমূলের কেউ কোনো কাজ করতে পারে না। আর এখন একজন নতুন জুটেছেন, তার ভাইপো। তাই পিসি ভাইপো মিলে গোটা রাজ্যে মন্ত্রীদের দিয়ে চুরি করানোর কাজটা বেশ ভালোই করেছেন এতদিন ধরে। কিন্তু এবার মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছে, লোকসভার আগে সেই সংখ্যার বাড়বে বলেই মনে করছে বিরোধীরা। তাই লোকসভায় বাংলা থেকে বিপুল আসন বিজেপির হাতে তুলে দিতে শুভেন্দু অধিকারী এবার সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুক্ত বাংলা গড়ার ডাক দিলেন। যার ফলে প্রবল বিড়ম্বনায় পড়তে চলেছে তৃণমূল সরকার। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!