এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > করোনা আতঙ্কেই বাজিমাত মমতার, প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর চালাকি ! তুলোধোনা শুভেন্দুর !

করোনা আতঙ্কেই বাজিমাত মমতার, প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর চালাকি ! তুলোধোনা শুভেন্দুর !


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বিগত 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কোনোমতেই ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু তারপরেও বিপুল আসন নিয়ে তারা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে। যার ফলে বিরোধী দল বিজেপিও হতাশ তবে হতাশ হওয়ার মত কিছু দেখছেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কারণ তিনি অবশ্য দাবি করছেন, সামনের দিন বিজেপির হবে। আর এই পরিস্থিতিতে আজ এক বিজয়া সম্মেলনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে করোনা আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে কিভাবে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার পর্দাফাঁস করে দিলেন সেই শুভেন্দুবাবু। কতটা চালাকি করে, মানুষের গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করে তৃণমূল কারসাজি করেছে, তা এবার সামনে চলে এলো।বিরোধীরা অবশ্য তেমনটাই বলছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন একটি কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, গত 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচ দফার ভোট শেষ হওয়ার পর করোনা আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে চালাকি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়স্ক ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে পুলিশকে গিয়ে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে ভোট দেওয়ানো হয়েছে। মানুষকে ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করে ক্ষমতায় এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি অবশ্য জিততে পারেননি।” একাংশের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর এই যুক্তি কিছুটা হলেও সঠিক। যদি এই করোনার প্রবণতা না থাকত এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে বয়স্ক ভোটারদের কাছ থেকে ভোট সংগ্রহ না করা হত, তাহলে অনেক মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারতেন এবং তখন তৃণমূলের বিরুদ্ধেই ভোট পড়ত। আর তাতে আরও অনেক আসনে হেরে যেতো রাজ্যের শাসক দল। হয়ত তারা ক্ষমতায় থাকত। কিন্তু আরও বেশি আসন পেতো রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পৌরসভা, স্থানীয় নির্বাচন আর কিছুই হয় না পশ্চিমবঙ্গে। তবে বিধানসভা নির্বাচনেও ভোটকেন্দ্রে গণতন্ত্র লুট করা যাবে না, এটা বুঝে গিয়েছিল তৃণমূল। আর সেই কারণেই বিজেপি বিরোধী দল‌ হিসেবে এত আসন পেয়েছে। তবে তৃণমূলের আসন সংখ্যা আরও কমে যেত, যদি বাড়ি বাড়ি গিয়ে বয়স্ক ভোটারদের কাছ থেকে ভোট না নেওয়া হত। সেখানে পুলিশকে নিয়ে গিয়ে তাদের দিয়ে বয়স্ক ভোটারদের ভয় দেখানো হয়েছে। যাতে তারা তৃণমূলে ভোট দিতে বাধ্য হয়। গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করার যে অভিযোগ শুভেন্দুবাবু করেছেন, তা সত্যি। তা না হলে মুখ্যমন্ত্রী অন্তত শুভেন্দু অধিকারীর কাছে জয়লাভ করতেন। কিন্তু তার মত নেত্রীও যখন জয়লাভ করতে পারেননি, তখন রাজ্যের অনেক আসনেই যে তৃণমূল কারচুপি করে বিধানসভা নিজেদের হাতে এনেছে, সেই ব্যাপারে সংশয় নেই। তবে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল এই গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করার হিসাব সুদে-আসলে পাবে বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে এবং ক্ষমতা ভোগ করতে এক অদ্ভুত লালসা তৈরি হয়েছে রাজ্যের শাসকদলের। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে এমনিতেই প্রতিষ্ঠান বিরোধী কাজ করেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর তার মধ্যেই এত দুর্নীতি, এত স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে মানুষ বিরক্ত হয়ে উঠেছিল। সকলেই তৃণমূলকে মুখে মুখে বিদায় জানানোর কথা বলছিল। কিন্তু ভোটবাক্স খোলার পর কি করে ফল উল্টে গেল, তা নিয়ে বহু চর্চা হয়েছে বিরোধীদের মধ্যেও‌। তবে এবার করোনা আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে বয়স্ক মানুষদের ভোটকে কি করে নিজেদের পক্ষে এনেছে তৃণমূল এবং কি করে জয়লাভ করেছে, তার পর্দাফাঁস করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী‌। আর এর ফলে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গেল যে, মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজের ক্যারিশ্মায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসেননি। কারচুপির রাস্তা অবলম্বন করে এবং করোনা আতঙ্ককে কাজে লাগিয়েই মানুষের ভোট নিজের পক্ষে এনে তিনি বাজিমাত করেছেন। তবে দ্বিতীয়বার আর সেই চেষ্টায় তিনি সফলতা পাবেন না। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!