এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার কি তবে নতুন জাতীয় সঙ্গীত? প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তেমনই দাবি করলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী, ফুঁসছে বাংলা

এবার কি তবে নতুন জাতীয় সঙ্গীত? প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তেমনই দাবি করলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী, ফুঁসছে বাংলা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নতুন জাতীয় সংগীতের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখে তুমুল আলোড়ন ফেলে দিলেন বর্ষীয়ান বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সম্প্রতি নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন এই নতুন সংসদ ভবন আত্মনির্ভর ভারতের চিহ্ন বহন করবে। এবার নতুন সংসদ ভবনের প্রেক্ষাপটে নতুন জাতীয় সংগীতের দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।

বিজেপির এই বর্ষীয়ান সাংসদ প্রধানমন্ত্রীকে এক চিঠি লিখে দাবি করেছেন যে, ভারতের জাতীয় সংগীত ‘জনগণমন’ এর কিছু শব্দ বদল করতে। তিনি যুক্তি দিয়েছেন যে, ভারতের জাতীয় সংগীতের মধ্যে রয়েছে ‘সিন্ধু’ শব্দটি। কিন্তু সিন্ধু এখন আর ভারতের অংশ নয়। তাই এই নিয়ে বারবার অযথা বিতর্কর সৃষ্টি হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন যে, তাঁর এই প্রস্তাব দেশের অধিকাংশ যুবকই সমর্থন করে থাকেন।

আগামী ২০২১ সালের ২৬ সে জনুয়ারির দিনে তিনি জাতীয় সংগীতের কিছু শব্দবদল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এ বিষয়ে তিনি একটি বিশেষ প্রস্তাব রেখেছেন কেন্দ্রের কাছে। তিনি জানিয়েছেন যে, আজাদ হিন্দ ফৌজের অভিযানকালে মনিপুর থেকে ইংরেজদের তাড়িয়ে দেওয়ার পর আজাদ হিন্দ ফৌজ এই গানের যে অংশটিকে হিন্দি অনুবাদ করেছিল, সেটিকেই জাতীয় সংগীত বলে ঘোষণা করা হোক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, আজাদ হিন্দ বাহিনীর জেনারেল মুমতাজ হুসেন, কর্নেল আবিদ হাসান সাফরানি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই গানটির হিন্দুস্থানী অনুবাদ করেছিলেন। যার সুর দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন রাম সিংহ ঠাকুর। হিন্দুস্থানীতে অনূদিত ৫৫ সেকেন্ড সময়ের এই গানটি কাওমি তারানা নামেও পরিচিত হয়েছিল। তবে উল্লেখযোগ্য এই অনুবাদ করা গানের মধ্যেও থেকে গিয়েছে ‘সিন্ধু’ শব্দটি।

বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ১৯৪৯ সালের ২৬ সে নভেম্বর দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের এক মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে জানালেন যে, তিনি জানিয়েছিলেন ভবিষ্যতে দেশের জাতীয় সংগীতের কিছু শব্দ বদলানো হতে পারে। তবে জাতীয় সংগীতের শব্দ এভাবে বদল করা যায় কিনা? তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। জাতীয় সংগীতের শব্দ বদলের দাবি জানাতে এর বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছে বাংলা। যে বিশ্বকবির রচিত গান দুই দেশের জাতীয় সংগীত। তাঁর গানের শব্দ বদলের দাবি অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!