এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শেষমেষ হাজিরা দিতেই হলো, আজই ধেড়ে ইঁদুর ধরবে ইডি? আশঙ্কায় তৃণমূল, কটাক্ষ বিজেপির!

শেষমেষ হাজিরা দিতেই হলো, আজই ধেড়ে ইঁদুর ধরবে ইডি? আশঙ্কায় তৃণমূল, কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-কত শখ ছিল, ভেবেছিলেন, যে করেই হোক, তিনি ছাড় পেয়ে যাবেন। আদালতে গিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, সেখান থেকে রক্ষাকবচ পেয়ে যাবেন। তাকে আর হাজিরা দিতে হবে না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কড়া কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে না। তার বস যেভাবে এড়িয়ে যান, তিনিও সেই পদ্ধতিই অবলম্বন করবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাজিরা দিতেই হলো সুমিত রায়কে। বিরোধীরা বলছেন, ভাইপোর এই কর্মচারীকে জেরা করে অনেক তথ্য বেরোবে। আর তাতেই আসল মাথাকে স্পর্শ করা সম্ভব হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তাই এবার ইডি যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী দিনে এই জেরার মধ্য দিয়ে নতুন পথের সন্ধান পাবে তারা।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নোটিশ পেয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়। আর তারপরেই নানা মহলের তৎপরতা দেখা যায়। সুমিতবাবু আদালতের দ্বারস্থ হন। তিনি রক্ষাকবচের আবেদন করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা রক্ষাকবচ দেওয়া হয়নি আদালতের পক্ষ থেকে। তবে এই পরিস্থিতিতে আজ সেই নির্দিষ্ট সময়মত সিজিও কমপ্লেক্সের অফিসে পৌঁছে যান সুমিতবাবু। তাকে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য ক্রমাগত জেরা করেই চলেছে ইডি আধিকারিকরা।

বিজেপির দাবি, খেলা তো এবার শুরু হয়েছে। হয়ত প্রথম বার জেরাতে তেমন কিছু হবে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবার পদক্ষেপ কিছু একটা নেবেই। আজ না হোক কাল, ধেড়ে ইঁদুর ধরা পড়বেই। আর তারপরেই মূল রাঘব বোয়ালকে আটক করবে ইডি, সিবিআই। যেদিনের জন্য অপেক্ষা করছেন গোটা রাজ্যের মানুষ, সেই সময় চলে এসেছে। জেল যাত্রার জন্য প্রহর গুনতে থাকুন রাঘব বোয়ালরা। আইন অনুযায়ী এবার প্রকৃত দোষীরা সাজা পাবেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় ভাইপো এতদিন অনেক বড় বড় কথা বলতেন। তিনি চেষ্টা করেছিলেন, তার পিএকে যাতে জেরায় হাজিরা দিতে না হয়। কারণ তিনি জানেন, তাকে জেরা করার আগে যদি তার পিএকে আটক করে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাহলে তার অনেক তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে। আর তখন যুবরাজের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে আর খাটুনি করতে হবে না ইডি, সিবিআইকে। হয়ত সেই ভয়েই তিনি পিএকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, যাতে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে একটা রক্ষাকবচ পাওয়া যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা পাওয়া গেল না। তাই হাজিরা দিতেই হল বসের কর্মচারীকে।তবে শেষ পর্যন্ত তাকে টানা জেরার পর ছেড়ে দেওয়া হয়, নাকি আজকেই কোনো একটা পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তার দিকে অবশ্যই সকলের নজর রয়েছে। কিন্তু এদিনের এই জেরা যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং এর ফলে যে বেশ কিছু নতুন দিক উঠে আসবে ইডির হাতে, সেই ব্যাপারে সন্দেহ নেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে বিরোধীদের মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!