ভাইপোর বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ? তৃণমূলের অন্দরে অশনি সংকেত, বড় দাবি বিজেপির! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি October 16, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এতদিন যারা বিরোধী রয়েছেন, যারা শাসক দলে রয়েছেন, সকলেই ভেবেছিলেন যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা শুধু ডাকাডাকি করছে, তল্লাশি করছে। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তবে এবার একদম শেষ কিনারে দাঁড়িয়ে রয়েছে ইডির তদন্ত। আদালতের নির্দেশে তাদের দ্রুত তদন্ত শেষ করতে হবে। তাই সেই তদন্তের ভিত্তিতে খুব তাড়াতাড়ি অশনি সংকেত তৈরি হতে পারে তৃণমূলের অন্দরে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে অবশ্য তেমনটাই বলা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে আজ যখন ইডির মুখোমুখি হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক, ঠিক তখনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি এমন একটি মন্তব্য এদিন করেছেন, যার ফলে চিন্তা বাড়ছে শাসক দলের নেতাদের। আর এরপরে তৃণমূল এখন বলতেই পারে যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বিজেপি পরিচালিত করছে, কিন্তু তাদের সেই বক্তব্যে কিছু যায় আসে না। তবে তারা নিয়ম মেনেই তদন্ত করছে এবং এবার যে ফাইনাল টাচ দেওয়ার সময় চলে এসেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, আজ ইডির মুখোমুখি হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিএ সুমিত রায়। আর সেই ব্যাপারেই বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। যে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ইডির ডাক হচ্ছে কৃষ্ণের বাঁশির মত। যদি কারও কানে বেজে যায়, তাহলে সে থাকতে পারবে না। ভেতরে তাকে যেতেই হবে। আজ না হোক কাল, যেতেই হবে। তার পরিবারের সদস্যদের ডেকেছে, এবার তার আপ্ত সহায়ককে ডাকছে। একদিন না একদিন যেতে হবেই।” একাংশের মতে, এ কথা অত্যন্ত ঠিক যে, দুর্নীতি হয়েছে। আর এটাও ঠিক, দুর্নীতিতে যাদের যাদের নাম প্রকাশ্যে এসেছে, তাদেরকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জেরা করছে। তাদের কাছ থেকে আসল তথ্য নিতে চাইছে। যিনি সর্বভারতীয় যুবরাজ হিসেবে পরিচিত, তিনি মুখে অনেক বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংস্থা ডাকলেই তিনি রক্ষাকবচ নিতে আদালতে চলে যান। তিনি ভাবেন, এভাবেই দিন কেটে যাবে। তাকে কেউ ধরতে পারবে না। তবে সময় চলে এসেছে ব্যবস্থা নেওয়ার। সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকেও দাবি উঠছে, দুর্নীতিকে সমূলে উৎপাটন করতে কেন্দ্রীয় সংস্থা কড়া পদক্ষেপ নিতেই হবে। তাই এবার মানুষের মনে বিশ্বাস ফেরাতে, আদালতে নিজেদের ভরসার জায়গা তৈরি করতে ইডি এমন একটা কিছু করবে যাতে সকলেই হতবাক হয়ে যায়। তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিজেপির দাবি, সর্বভারতীয় ভাইপো খুব ভালো মতো জানেন, তাকে ডাকা এবং তার পিএকে ডাকা কার্যত সমার্থক বিষয়। তাই তিনি চেষ্টা করেছিলেন, যাতে সুমিতবাবুকে তদন্তের মুখোমুখি হতে না হয়। তাকে হয়ত তিনিই নির্দেশ দিয়েছিলেন, আদালতে রক্ষাকবচ নিতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত জেরা চলছে বসের পিএর। আর এতেই ধুকপুকানি শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলার যুবরাজের। সময় এসে গেছে ভাইপো। এবার আপনাকে ভেতরে যেতেই হবে। দুর্নীতি করে বেশি দিন বাইরে থাকা যাবে না। আপনি পুলিশ পরিচালনা করে যা ইচ্ছে, তাই করতে পারেন। কিন্তু ভারতবর্ষের আইন আপনাকে দোষ করলে সাজা দেবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখে তৃণমূলের কেউ কিছু না বললেও, সুমিত রায়ের এই জেরা নিয়ে তারা অনেকেই আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। তারা খুব ভালো মতো জানেন, যদি গ্রেপ্তার আজকে নাও হয়, তবুও প্রশ্নের উত্তরে যদি সুমিতবাবু এদিক থেকে ওদিক কিছু বলে ফেলেন, তাহলে আগামী দিন তৃণমূলের কাছে ভয়ংকর। তাই ইডি পদক্ষেপ নিচ্ছে না, সিবিআই পদক্ষেপ নিচ্ছে না, এটা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ কথায় আছে, বড় বটগাছকে একেবারে উপড়ে ফেলা যায় না। তাই সেই বড় শিকড়কে উপড়ে ফেলার আগে ছোট ছোট শাখা প্রশাখাকে জেরা করে চূড়ান্ত পর্বে এগিয়ে যেতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। খুব তাড়াতাড়ি বাংলার মানুষ ভয়াবহ চিত্র দেখতে পাবেন। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -