এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > উত্তরবঙ্গে বিজেপিকে রুখে এগিয়ে যেতে কালীপুজোকেও পাখির চোখ করছে শাসকদল

উত্তরবঙ্গে বিজেপিকে রুখে এগিয়ে যেতে কালীপুজোকেও পাখির চোখ করছে শাসকদল

 

লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের একটি আসনও দখল করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট তৃণমূলের অত্যন্ত শক্তঘাঁটি হলেও নাট্যকার অর্পিতা ঘোষকে প্রার্থী করে এখানে নিজের কাজ হাসিল করতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বালুরঘাটে জয়লাভ করেছেন বিজেপির সুকান্ত মজুমদার। তবে নির্বাচনে অর্পিতা ঘোষ পরাজিত হলেও তাকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর জেলার সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়ার পরই দিদিকে বলো কর্মসূচি থেকে শুরু করে সম্প্রীতি যাত্রা, বিভিন্ন জায়গায় কর্মী-সমর্থকদের রাস্তায় নামাতে সক্ষম হয়েছেন অর্পিতা দেবী। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি ক্লাবকেন্দ্রিক হওয়ায় সদ্য সমাপ্ত হওয়া দুর্গাপুজোতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি কটা পুজো উদ্বোধন করলেন, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল।

দেখা গিয়েছিল, এখানকার বিদায়ী সাংসদ অর্পিতা ঘোষ যেমন অনেক পুজো উদ্বোধন করছেন, ঠিক তেমনই বর্তমান বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও তাতে পিছিয়ে নেই। কিন্তু যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সতীপীঠের অন্যতম পীঠ মা বিদ্যেশ্বরী বিরাজ করছেন, সেখানে কে বেশি শক্তি আরাধনায় ব্রতী হতে পারে, তা নিয়ে এখন প্রবল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এখানকার বিদায়ী সাংসদ তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী জেলার নানা প্রান্তের কালীপুজোর উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূলকে টেক্কা দিতে বালুরঘাটের বর্তমান বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও শক্তি আরাধনায় ময়দানে নেমেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু কে সবথেকে বেশি এই কালীপুজোর উদ্বোধনে এগিয়ে রয়েছেন!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে আমাদের দলের একাংশের কারণে আমাকে হারতে হলেও এখন জেলায় দলের দায়িত্ব হাতে নিয়ে দলকে সঙ্ঘবদ্ধ করেছি। পুজো উদ্যোক্তারা আমাকে আপন করে নিয়েছেন। প্রচুর দুর্গাপুজো উদ্বোধন পেয়েছিলাম। সব উদ্বোধন করা সম্ভব না হলেও 60 টি পুজোর উদ্বোধন করেছি। কালীপুজো উদ্বোধনের জন্যও লম্বা লিস্ট তৈরি হয়েছে। পঞ্চাশটির মতো উদ্বোধনের ইচ্ছে রয়েছে। সাধারণ মানুষের ভালবাসায় জেলায় তৃণমূলে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এই জেলায় তৃণমূল একক শক্তির জায়গায় চলে এসেছে।”

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বর্তমান বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দুর্গাপুজোতে 40 টির মত ছোট-বড় পুজোর উদ্বোধন করেছি। কালীপুজোতে 20 টি পুজোর উদ্বোধন করব। পুজো উদ্যোক্তারা সরকারিভাবে একটি অনুদান পেয়ে থাকে। আর তাই হয়ত বা শাসক দলের নেতাকর্মীদের ডাকে তবে এবার আমাদের দলের তরফে অনেক পুজোর উদ্বোধন করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি এই জেলায় ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। যার নমুনা আমরা গান্ধী সংকল্প যাত্রায় দেখতে পাচ্ছি।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কালীপুজো উদ্বোধন করার মধ্যে দিয়ে তৃণমূল চাইছে বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে টেক্কা দিতে। আবার অপরদিকে বিজেপিও একইভাবে তৃণমূলকে টেক্কা দিতে চাইছে। কিন্তু পুজো উদ্বোধনে যে দলই এগিয়ে থাকুক না কেন, নির্বাচনী বৈতরণীতে কারা এগিয়ে থাকে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরবাসী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!