এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > ফের মামলার জালে মুকুল রায় ও বিজেপি সংসদ, নয়া ফাঁসে বিজেপির চাণক্য!

ফের মামলার জালে মুকুল রায় ও বিজেপি সংসদ, নয়া ফাঁসে বিজেপির চাণক্য!


যত দিন যাচ্ছে ততই যেন অস্বস্তি বাড়ছে বঙ্গ বিজেপির চাণক্য মুকুল রায়ের। এবার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক তথা নদিয়া জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় কেন তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে, তা জানতে চেয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দিল রানাঘাট আদালত। জানা যায়, প্রথমে অভিযুক্তদের তালিকায় এদের নাম থাকলেও পরে তা নিষ্কৃতি পান দুই বিজেপি নেতা।

কিন্তু অভিযোগকারী মিলন সাহা আদালতের কাছে এই রায় সংশোধনের আবেদন জানালে দুই বিজেপি নেতার অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি হয়েছে। আর সেখানেই অভিযোগকারী মিলন সাহার আইনজীবী অঞ্জনকুমার দে তার বক্তব্য রাখেন। যা শোনার পরেই রানাঘাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শুভদীপ মিত্র জানান, আগামী ২ নভেম্বর মুকুল রায় ও জগন্নাথবাবুকে নিজে বা আইনজীবী মারফত আদালতের কাছে নিজেদের বক্তব্য পেশ করতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন করে হোক আমায় গ্রেফতার করে জেলে ঢোকাতে চাইছেন। কারণ তিনি বুঝতে পারছেন যে তৃণমূল ভাঙছে। এই মামলা দিয়ে তিনি শেষ চেষ্টা করছেন। কিন্তু পারবেন না।” অন্যদিকে একইভাবে এই ব্যাপারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ বাবুর দাবি, “সামনে বিধানসভা নির্বাচন। সেই কারণেই নতুন করে আমাদের নাম জড়ানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে নিজের বাড়ির কাছেই একটি অনুষ্ঠান দেখার সময় খুন হন সত্যজিৎ বিশ্বাস খুন হয়েছিলেন।

ঘটনার তদন্তে নেমে সিআইডি পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু মুকুল রায় ও জগন্নাথবাবু গ্রেফতার না হলেও তাঁদের নাম অভিযোগপত্রে থাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধৃতদের তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়। তবে প্রমাণের অভাবে গত ১৪ জুন কার্তিক মণ্ডল ওরফে মিঠুন ও কালীপদ মণ্ডল ওরফে কালিদাসকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়। আর তাঁদের সাথে সাথে নিষ্কৃতি পান মুকুলবাবু এবং জগন্নাথবাবু। তবে, অভিযোগ ওঠে – এই দুই নেতাকে নিষ্কৃতি দেওয়া আইনগত দিক দিয়ে ঠিক হয়নি।

কেননা তদন্ত চলাকালীন সন্দেহজনক তালিকায় থাকলে তদন্তকারী অফিসারের পেশ করা রিপোর্টের ভিত্তিতে কাউকে সেই মামলা থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া আইনত অবৈধ বলে দাবি করেন অভিযোগকারীর আইনজীবী। তবে যাই হোক না কেন, এই ব্যাপারে তারাও তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সেই মুকুল রায়ের আইনজীবী। সবমিলিয়ে মুকুল রায়ের উপর একের পর এক মামলার ঢেউ আছড়ে পড়ছেই – যদিও মুকুলবাবুর নিজের বক্তব্য, রাজনৈতিক ভাবে তাঁর সঙ্গে না পেরেই তৃণমূল নাকি এইসব মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিচ্ছে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!