এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দু নৌকায় পা মমতার, দ্বিচারিতার পর্দাফাঁস! মুখোশ খুলে দিলেন সুকান্ত!

দু নৌকায় পা মমতার, দ্বিচারিতার পর্দাফাঁস! মুখোশ খুলে দিলেন সুকান্ত!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-দেশে নাকি গণতন্ত্র নেই। নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ নাকি দুই হাতে গণতন্ত্রকে টিপে ধরে হত্যা করছেন। তাই এবার তাদেরকে সরাতে হবে। না, এই কথা আমরা বলছি, এটা আবার ভাববেন না। এই কথা প্রতিনিয়ত প্রত্যেকটি সভা থেকে বলতে দেখা যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু তিনি কত বড় ডবল স্ট্যান্ডার্ড, কত বড় দ্বিচারিতা করছেন মানুষের সঙ্গে, তা আবার প্রকাশ্যে চলে এলো। দিল্লির সরকারকে নিয়ে তিনি অনেক বড় বড় কথা বলছেন। কিন্তু নিজের রাজ্য বাংলাতে বিরোধীদের সভা করার ব্যাপারে অনুমতি দেন না। বারবার আদালতে গিয়ে অনুমতি নিয়ে আসতে হয় বিরোধী দলকে। 21 জুলাই তার দল ঘটা করে রাস্তা আটকে যে জায়গায় সভা করে, সেখানে বিরোধীরা সভা করতে চাইলে তাদের আটকে দেওয়া হয়। তাহলে সেই নেত্রী কি করে দেশের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন! সেই বিষয়টি নিয়ে এবার পাল্টা তৃণমূল নেত্রীর কাছে জবাব চাইতে শুরু করল রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। আজ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে আবার রাজ্য সরকার ধাক্কা খাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীকে রীতিমত কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, এদিন আদালতে রাজ্য ধাক্কা খাওয়ার পর এবং বিজেপি সভা করার অনুমতি পাওয়ার পর উচ্ছসিত হয়ে ওঠেন গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি রীতিমত মুখ্যমন্ত্রীকে ধুয়ে দিয়েছেন। বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ বলেন, “এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেশের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু তিনি নিজে কত বড় ফ্যাসিস্ট এবং কত বড় ডবল স্ট্যান্ডার্ড, তা এই ঘটনাতেই পরিষ্কার। যেখানে তারা সভা করছে, সেখানে বিরোধীদলকে নাকি সভা করতে দেবে না! আমি রাজনৈতিক দল, কোনো নেত্রী বা মহিলা ছেড়ে দিন। মানুষ হিসেবেও এত বড় ডবল স্ট্যান্ডার্ড কাউকে দেখিনি।” অর্থাৎ বিজেপির রাজ্য সভাপতি স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন যে, এই রাজ্যে আইনের শাসন নেই। যদিও বা বিজেপির এই বক্তব্য নতুন কিছু নয়। বারবার তারা একের পর এক দৃষ্টান্ত এনে তুলে ধরেছেন যে, কিভাবে বিরোধী দলকে ট্রিট করছে এই রাজ্যের প্রশাসন। বিরোধীরা সভা করতে চাইলেই তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয় না। তাদের নেতাদের জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। আর আজকে আদালতেও এই ডবল স্ট্যান্ডার্ড পুলিশ মন্ত্রীর বুজরুকি এবং চালাকি প্রকাশ্য চলে এলো।

বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও খুব ভালো মতো জানতেন, আদালতে তারা হারবেন। কিন্তু তারপরেও একটা নির্লজ্জ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিরোধীরা এই রাজ্যে সভা করতে পারবে না। কারণ তৃণমূল নেত্রীর ভয় যে, তিনি দুর্নীতি করেছেন। তাই বিরোধীরা যদি সভা করতে পারে, মানুষের কাছে তাদের কথা পৌছে দিতে পারে, তাহলে তারা মানুষের মন জয় করে নেবেন। আর তাই সভা আটকানোর জন্য সব রকম চেষ্টা করে আদালত থেকে থাপ্পড় খাওয়ার পরেও, এই সরকারের ঘুম ভাঙবে না। যিনি দেশের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তার নিজের রাজ্যে যে গণতন্ত্র নেই, সেটা কেন বুঝতে পারছেন না তৃণমূল নেত্রী! আসলে তিনি সবকিছুই বোঝেন। কিন্তু বুঝেও না বোঝার ভান করেন এবং চূড়ান্ত মাত্রায় নাটক করে যান। তাই আজকে রাজ্যের বারোটা বাজিয়ে তিনি দেশের দিকে তাকাচ্ছেন। তবে লজ্জা থাকলে ভবিষ্যতে রাজ্যে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে দেশের গণতন্ত্র নিয়ে আর বড় বড় কথা বলবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যদি দেশের গণতন্ত্র নাই থাকত, তাহলে কিছুদিন আগে আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় ভাইপো ও তার বাহিনীকে নিয়ে গিয়ে এই অসভ্যতাটা দিল্লীর মাটিতে করতে পারত না। দিল্লী পুলিশ এত কিছুর পরেও তাদের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে অনুমতি পাওয়া তো দূরের কথা, বিরোধীরা যাতে পুলিশ স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছতে না পারে, তার জন্য অনেক সময় তৃণমূলের বাহিনীরা তাদের ভয় দেখায়। কিন্তু সেখানে পুলিশ নীরব থাকে। আজকে রাজ্যের এই পরিস্থিতির মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবছেন, দেশকে তিনি উদ্ধার করবেন, দেশের গণতন্ত্র তিনি রক্ষা করবেন। হায় রে অদৃষ্ট! যিনি পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে দুহাতে টিপে হত্যা করছেন, যিনি এত বড় ডবল স্ট্যান্ডার্ড, তার হাতে দেশ গেলে কি পরিণাম হবে, তা এতদিনে সকলের কাছেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!