এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার ফুর্তির দিন শেষ? সরকারি অর্থের অপচয় বন্ধ! শুভেন্দুর প্ল্যানে টাইট নবান্ন!

মমতার ফুর্তির দিন শেষ? সরকারি অর্থের অপচয় বন্ধ! শুভেন্দুর প্ল্যানে টাইট নবান্ন!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- খেলা, মেলা উৎসব করে এতদিন বহু অর্থের অপচয় করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এবার হয়তো তা বন্ধ হতে চলেছে। রাজ্য সরকার নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে বিধানসভায় বাংলা দিবস পহেলা বৈশাখ করার প্রস্তাব পাস করেছে। তবে রাজভবনের বিরুদ্ধে গিয়ে এই প্রস্তাব পাস করে রাজ্য পয়লা বৈশাখ কোনোভাবেই সরকারি অর্থ দিয়ে উৎসব উদযাপন করতে পারবে না। রাজভবনের বাইরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে তেমনটাই হুশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু কোন ফর্মুলায় রাজ্যকে এভাবে টাইট দিলেন তিনি?

বলা বাহুল্য, মুখ্যমন্ত্রী এবং সরকারপক্ষ যখন বিধানসভায় বাংলা দিবস পয়লা বৈশাখ করার প্রস্তাব পাস করেছে, তখনই রাজভবনে গিয়ে তারা আপত্তি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিরোধী দলের বিধায়করা। তারা যুক্তি দিয়েছেন, রাজভবন যখন 20 জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেছে, তখন পাল্টা একটি দিন ঘোষণা করার অর্থ কি? তাই রাজ্য সরকার সাংবিধানিক পদমর্যাদাকে অমান্য করেছে। যে কারণে পয়লা বৈশাখ তারা বাংলা দিবস পালন করার কথা বললেও, সেদিন যেন সরকারি অর্থ দিয়ে কিছু উদযাপন করা না হয়। আর যদি তা করা হয়, তাহলে তা রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে অমান্য করা বলে যুক্তি বিরোধীদের। আর বিরোধী শিবিরের এই যুক্তি যে সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মনে ধরেছে, তা স্পষ্ট।

অনেকের প্রশ্ন, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী যে বললেন, কেউ যদি তাদের প্রস্তাব সম্মতি না দেয়, তবুও তারা পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস পালন করবেন। তাহলে সেটার কি হবে? বিরোধী দলনেতার যুক্তি, রাজ্য সরকার নিজেদের মতো করে করতেই পারে। কিন্তু সরকারি কোষাগার থেকে এর জন্য কোনো অর্থ ব্যবহার করা যাবে না। কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী এও বলেছেন, গরু, কয়লা, বালি, মদের বোতল থেকে কাটমানি, ডিয়ার লটারি থেকে টাকা নিয়ে রাজ্য সরকার হয়তো মডার্ন ডেকোরেটরকে দিয়ে এই সমস্ত উৎসব পালন করবে। কিন্তু সরকারি অর্থ নষ্ট করার রাস্তা যে বিরোধী দলনেতা বেশ ভালোভাবেই বন্ধ করে দিয়েছেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত পর্যবেক্ষকরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এতদিন এইরকম কোনো বিরোধী দলনেতার সম্মুখীন হতে হয়নি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই সরকারি অর্থকে যেভাবেই হোক তিনি খেলা, মেলা, উৎসবের মধ্যে দিয়ে নষ্ট করেছেন বলে অভিযোগ। এখনও তিনি তা করেই চলেছেন। সবটা হয়তো শুভেন্দুবাবুর পক্ষে আটকানো সম্ভব নয়। তবে সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে গিয়ে বাংলা দিবস নিজেদের মতো পালন করার জন্য রাজ্য সরকারের সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ অপচয়ের রাস্তা বন্ধ। নবান্নকে টাইট দিয়ে অন্তত তেমনটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!