এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গড়বেতা থেকে বাগনান! বিজেপি নেতা কর্মীদের দোকানে ভাঙচুর আগুন! অভিযুক্ত তৃণমূল

গড়বেতা থেকে বাগনান! বিজেপি নেতা কর্মীদের দোকানে ভাঙচুর আগুন! অভিযুক্ত তৃণমূল


 

রাজ্যে গণতন্ত্র নেই বলে মাঝেমধ্যেই সরব হতে দেখা যায় বিজেপি নেতাদের। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির রাজ্যে উত্থানের পর গেরুয়া শিবিরের প্রতি শাসক দলের নেতাকর্মীরা প্রতিহিংসাবশত আচরণ করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে বরাবরই শাসকদলের পক্ষ থেকে সেই অভিযোগকে অস্বীকার করা হয়েছে। আর এবার গড়বেতা থানার চন্দ্রকোনা রোড এলাকায় করসা 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তাড়াগ্রামে বিজেপির বুথ সভাপতির দোকানে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বুথ সভাপতির বাবাকে মারধর করা হয়েছে, এমনকি তার বাইকও ভাঙচুর করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিজেপির বুথ সভাপতি পীযূষ মাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে জমির আল কাটাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের এক কর্মীর সঙ্গে এক তৃণমূল নেতার বিবাদ সৃষ্টি হয়েছিল। আর সেই সময় সেই তৃণমূল নেতার রোষে পড়তে হয়েছিল বিজেপির এই কর্মীকে।

এদিন এই প্রসঙ্গে পীযূষ মাল বলেন, “ওরা আমাদের দোকানে চড়াও হয়। গ্রামের মোড়ে আমার চায়ের দোকান রয়েছে। আমি মাঠে ছিলাম। বাবা দোকান বন্ধ করে বাজার গিয়েছিলেন। ওরা এসে আমাকে না পেয়ে আমার দোকানে ভাঙচুর চালায়। বাবা বাইক নিয়ে বাজারে থেকে ফিরতেই ওরা চড়াও হয়। বাইক ভাঙচুরের পাশাপাশি বাবাকে ব্যাপক মারধর করে। তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়। বাবাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বিজেপি করার জন্যই ওরা এই হামলা চালিয়েছে।”

তবে বিজেপির তোলা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল নেতা আকাশদীপ সিনহা বলেন, “এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি নয়। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।”

এদিকে শুক্রবার রাতে বাগনানের ওড়ফুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের দেউলটি এলাকায় বিজেপি করার অপরাধে এক ব্যক্তির দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে এখন এলাকায় শাসক-বিরোধী তরজা চরমে উঠেছে। জানা গেছে, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে বিবাদ চলছিল। গত শুক্রবার রাত দুটোর সময় জগবন্ধু পাল নামে এক বিজেপি কর্মীর বাড়ির সামনে এসে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাকে গালিগালাজ এবং তার বাড়িতে হামলা চালায়। আর এরপরই তার দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে আগুন লাগার পরই সেই বিজেপি কর্মী জগবন্ধু পালের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে দমকলের দুটি ইঞ্জিনের তৎপরতায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিন এই প্রসঙ্গে জগবন্ধুবাবু বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করি। সম্প্রতি আমাকে বিজেপি ছাড়ার জন্য তৃণমূলের লোকজন হুমকি দিচ্ছিল। তার ফলেই প্রতিহিংসাবশত তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।”

একইভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে জেলা বিজেপির সভাপতি অনুপম মল্লিক বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় তৃণমূলের লোকজন আমাদের কর্মীদের উপর আক্রমণ করেছিল। পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকার জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে।” তবে বিজেপির তোলা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি পুলক রায়। এদিন তিনি বলেন, “সিপিএমের হার্মাদরা এখন জার্সি বদল করে বিজেপি হয়েছে। তারা বাম আমলে এই ধরনের নোংরা রাজনীতি করেছে। কিন্তু আমরা এই ধরনের নোংরা রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। এটা বিজেপির নতুন আর পুরনোদের লড়াই বলে জানতে পেরেছি।”

তবে যে যাই বলুন না কেন, দিকে দিকে যেভাবে বিজেপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে, তাতে গেরুয়া শিবির যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেকটাই সিমপ্যাথি পেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। এখন তৃণমূল যদি নিজেরাই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে বিজেপিকে সিমপ্যাথি পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে অজান্তে তা তৃণমূলের ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!