এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > সাব্বাস বিজেপি, দলেই থাকছেন প্রলয় পাল, কোন জাদুতে মিটলো অভিমান? খুশি কর্মীরা!

সাব্বাস বিজেপি, দলেই থাকছেন প্রলয় পাল, কোন জাদুতে মিটলো অভিমান? খুশি কর্মীরা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-একের পর এক নির্বাচনী পরাজয়, রাজনৈতিক রণকৌশল করতে না পারা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের ভূমিকায় এতদিন বহু প্রশ্ন উঠেছে। সেই প্রশ্ন আরও দীর্ঘায়িত হয়েছে, যখন মেদিনীপুরের প্রলয় পালের মত নেতা রাজনীতিকে বিদায় জানিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেছেন। গোটা রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মীরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তবে মান-অভিমান মিটিয়ে এবার দলেই থাকার কথা জানিয়ে দিলেন সেই প্রলয় পাল। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা আগে যিনি রীতিমত নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন, তার সুর নরম করার পেছনে কোনো গোপন কারণ রয়েছে কি? কিছু সময়ের মধ্যেই প্রলয় পালের এই সিদ্ধান্ত বদলের পেছনে বিজেপির কোনো হেভিওয়েটের রণকৌশল এবং ময়দানে নেমে পরিস্থিতি সামলানোর গন্ধ পাচ্ছেন একাংশ। তবে দিনের শেষে প্রলয় পালের দলে থাকার খবর সামনে আসতে রীতিমত খুশি নিচুতলার বিজেপি কর্মীরা।

বলা বাহুল্য, গত দুদিন আগেই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তমলুক বিজেপির সহ-সভাপতি প্রলয় পাল। যে প্রলয় পালের সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলেছেন বলে খবর। অডিও টেপ ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তিনি রাজ্য রাজনীতিতে কার্যত খবরের শিরোনামে। কিন্তু স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীর অফারের পরেও তিনি দলবদন করেননি। বিজেপিতে থেকেই দলকে সাফল্য এনে দিয়েছেন। তবে সেই প্রলয়বাবুর হঠাৎ এমন কি হলো যে, তিনি রাজনীতিকে বিদায় জানানোর মত ফেসবুক পোস্ট দিলেন! অনেকে দাবি করেছিলেন যে, এটা প্রলয় প্রাণের অভিমান। তিনি দলে প্রকৃত সম্মান পাচ্ছেন না। তাই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তার কিছু সময়ের মধ্যেই 72 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই প্রলয় পালের গলায় শোনা গেল অন্য সুর‌। তিনি এবার সিদ্ধান্ত নিলেন যে, দল পরিবর্তন করবেন না। বরঞ্চ দলে থেকেই তিনি কাজ করবেন। কিন্তু কোন যাদুতে ঘটলো এই বড় সমস্যার সমাধান?

একাংশ বলছেন, কেউ একজন ময়দানে নেমেছেন বলেই এই বড় সমস্যা সমাধান হয়েছেন। আবার অনেকে বলছেন, এটা কর্মীদের অবদান। তবে প্রলয় পাল যে জেলার সাংগঠনিক দায়িত্ব রয়েছেন, সেই জেলাতেই বাড়ি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারীর। কথায় আছে, রাজ্য বিজেপিতে কার্যত মুশকিল আসান এই শুভেন্দুবাবু। শাসক দলকে নাস্তানাবুদ করার পাশাপাশি নিজের এলাকা কি করে ধরে রাখতে হয়, তা তিনি ভালই জানেন। তাই প্রলয়বাবুকে দলে রাখতে তার অবদানের কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।

তবে যদি সত্যিই প্রলয় পাল শেষ পর্যন্ত দল ত্যাগ করতেন, তাহলে নিচুতলার যারা বিজেপি কর্মী, তারা মুশরে পড়তেন। হতাশ হয়ে পড়তেন। কারণ এমনিতেই প্রতিমুহূর্তে কেস দিয়ে, মিথ্যে মামলা দিয়ে তাদের শাসক দল চাপে রেখেছে। তার মধ্যে যদি এইরকম একজন নেতা দল ছাড়তেন, তাহলে তা সত্যিই তাদের কাছে ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হলো না। যার ফলে একদম গ্রাস রুটের বিজেপি কর্মীরা তারা প্রলয় পালের এই সিদ্ধান্তে অত্যন্ত খুশি।

পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রলয় পালের এই সিদ্ধান্ত বদলের পেছনে যার হাতই থাকুক না কেন, তা অত্যন্ত সাধুবাদযোগ্য। পেছন থেকে যিনি এই সমস্যার সমাধানের জন্য মেঘনাদের ভূমিকা পালন করেছেন তাকেই সংগঠন পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। তবে প্রলয় পালের এই সিদ্ধান্ত হয়তো বদলে গিয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে যে এইরকম অন্য কোনো নেতার ক্ষেত্রে হবে না, তার কোনো গ্যারান্টি নেই। কারণ তৃণমূল যে পরিমাণ চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করেছে, তাতে অনেকেই বাধ্য হয়ে মাথানত করতে পারেন শাসক-শিবিরের কাছে। তাই নিজেদের ঘর রক্ষা করতে বিজেপিকে এখন থেকেই যোগ্য নেতাকে স্ট্র্যাটেজি করার দায়িত্ব দিতেই হবে। তা না হলে একের পর এক নির্বাচনে পরাজয়ের পাশাপাশি এবার ঘর ভাঙতে শুরু করবে। আর তাতে লোকসভা নির্বাচনে টার্গেটে পৌঁছানো তো অনেক দূরের কথা, খাতা খুলতে পারবে কিনা পদ্ম শিবির, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!