এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > টিকটক ও সেনা জওয়ানের মৃত্যু নিয়ে এবার বিস্ফোরক তৃণমূলের সেলিব্রিটি নেতা! বিতর্কের ঝড় রাজ্যে

টিকটক ও সেনা জওয়ানের মৃত্যু নিয়ে এবার বিস্ফোরক তৃণমূলের সেলিব্রিটি নেতা! বিতর্কের ঝড় রাজ্যে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভারত চীন আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিয়ে এই মুহূর্তে দেশের পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তেজনাপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চীনা আগ্রাসনের প্রতিবাদে সম্প্রতি ভারতের বুকে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে একগুচ্ছ চিনা অ্যাপ। যার মধ্যে তালিকার প্রথমেই রয়েছে জনপ্রিয়তম অ্যাপ টিকটক। টিকটক এর মাধ্যমে প্রচুর সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটিরা পর্যন্ত নিজেদের বিনোদনকে তুলে ধরতেন। এই অবস্থাইয় টিকটক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা আশাহত হন ব্যবহারকারীরা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে টিকটক এবার রাজনৈতিক মহলেও আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে টিকটক নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল শিবির থেকে নুসরাত জাহান মুখ খুলেছিলেন। আর এবার টিকটক এর পক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা তথা অভিনেতা সোহম। টিকটক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান মন্তব্য রেখেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট হঠকারি।

যদিও নুসরত নিজে একজন পরিচিত টিকটকার বলে জানা যায়। তবে টিকটক ব্যান করা নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত কোনো অসুবিধা নেই বলেই তিনি জানিয়েছেন। তবে সাধারণ মানুষ যে এবার টিকটক না থাকার কারণে বেকার হয়ে গেল সে কথা উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, দেশের সুরক্ষার জন্য টিকটক যদি ব্যান করা হয় তাহলে সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য হবে। পরক্ষণেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, চিনা অ্যাপ যদি বন্ধ করা হয়, তাহলে দেশজুড়ে যেভাবে চীনা সংস্থা বিনিয়োগ করেছে সেগুলির কি হবে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি যাঁরা চীনা দ্রব্য রপ্তানি আমদানির সঙ্গে জড়িত, তাঁরাই বা কোথায় কাজ করবেন? ঠিক একইভাবে নুসরত জাহানের মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে এবার মন্তব্য করেছেন আর এক তারকা নেতা সোহম। প্রসঙ্গত গত 29 শে জুন কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে তথ্য প্রযুক্তি আইনের 69 ধারা প্রয়োগ করে 59 টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয় ভারতের বুকে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, এই চীনা অ্যাপগুলি দেশের সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হানছিল।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের দাবি, চীনকে সীমান্তে তাঁর আগ্রাসী মনোভাবের জবাব দিতেই ভারত সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা সোহম প্রশ্ন তুলেছেন, চীনা দ্রব্য বর্জন করলে কি ভারতীয় সেনাবাহিনীর শহীদ জওয়ানরা আবার ফিরে আসবেন? আর সোহমের এই প্রশ্ন ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর সমালোচনা। অন্যদিকে এদিন চীনের তুমুল সমালোচনা করেছেন সোহম বলে জানা গেছে। এমনকি করোনার পেছনে চীনের চক্রান্ত নিয়েও তুমুল প্রতিবাদ জানান তিনি।

অন্যদিকে টিকটক নিয়ে এবং শহীদ জাওয়ানদের প্রসঙ্গে যে মন্তব্যটি করেছেন তৃণমূল নেতা তা নিয়ে কিন্তু যথারীতি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সব মহলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেখানে দেশের নিরাপত্তা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেখানে টিকটক সহ চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা ছিলনা ভারতের কাছে। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যেভাবে তৃণমূল সাংসদ এবং নেতা মুখ খুলেছেন তা নিয়ে অবশ্য তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে দলের অন্দরেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!