এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল নেত্রীর বিশেষ ফোন গেল একদা সহকর্মী, অধুনা হেভিওয়েট বিজেপি নেত্রীর কাছে, বাড়ছে জল্পনা

তৃণমূল নেত্রীর বিশেষ ফোন গেল একদা সহকর্মী, অধুনা হেভিওয়েট বিজেপি নেত্রীর কাছে, বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে করোনা এই মুহূর্তে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক নেতা কেউই এখন বাদ নেই করোনার হাত থেকে। শাসক দল থেকে বিরোধী দল – করোনা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। এতদিন পর্যন্ত তৃণমূলের একের পর এক নেতা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকি মারাও গেছেন ফলতার তৃণমূল বিধায়ক করোনা আক্রান্ত হয়ে। অন্যদিকে সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্যকেও করোনা সংক্রমিত হতে দেখা গিয়েছে। এবার সেই দলে নাম লেখালেন হুগলি জেলার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।

আর এই নিয়ে সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি শিবিরে শুরু হয়েছে আতঙ্ক। অন্যদিকে রাজ্য রাজনীতিতে আরো বড় খবর তৈরি হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাসরি ফোন তাঁকে। সূত্রের খবর, লকেট চট্টোপাধ্যায় এর শারীরিক খোঁজখবর নেওয়ার জন্যই তাঁকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে দল ছেড়ে যাওয়া মানুষকে মনে রেখে খোঁজ নিচ্ছেন, তা কিন্তু 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে কিছুটা হলেও ছাপ ফেলবে।

গতকাল লকেট চট্টোপাধ্যায়ের টুইট থেকেই জানা যায় যে তিনি করোনা পজিটিভ হয়েছেন। 24 ঘন্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে সাংসদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি এও জানা গেছে, লকেট চট্টোপাধ্যায়কে তিনি বড়দিদি হিসেবে আশ্বাস দিয়েছেন। অতীতে অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় তৃণমূলে যোগদান এর মধ্যে দিয়ে। পরে অবশ্য তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন।

কি কারণে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন, তা অবশ্য কোনদিনই খোলসা করেননি তিনি। তবে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে লকেটের জয় রাজনীতিতে একটা বড় চমক তৈরি করেছে নিঃসন্দেহে তা বলা যায়। অন্যদিকে জানা যায়, তৃণমূল দল ছাড়ার পর থেকেই লকেটের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর খুব স্বাভাবিক ভাবেই দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তবে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে সেভাবে কোনদিনও সরব হতে দেখা যায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি তৃণমূলের অন্যান্য নেতারাও লকেটকে সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে লকেট চট্টোপাধ্যায় কিন্তু বিজেপিতে যোগ দিয়েই রীতিমত কড়া আক্রমণের মুখে ফেলে শাসক দলকে। তবে এদিন লকেট চট্টোপাধ্যায়ের করোনা হওয়ার খবরে মুখ্যমন্ত্রীর খোঁজ নেওয়ার পেছনে অনেকে রাজনীতি খুঁজলেও বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর আগেও বিরোধীদলের নেতাদের খোঁজ নিতে দেখা গেছে অসুস্থ থাকাকালীন।

সম্প্রতি প্রবীণ নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্ত্রীকে অবিরত ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন এবং পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। তার আগেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানেও তাঁর খোঁজ নিতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক সেভাবেই লকেট চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ নিয়েছেন।

তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে লকেটের শারীরিক খোঁজ নিলেন এবং স্নেহ দেখালেন তা নিয়ে কিন্তু খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য বিজেপি মহলে শোরগোল উঠবে এবং উঠেছেও। কারণ বিজেপি শিবিরের অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর এই স্নেহ পরবশ হওয়া তাঁদের দলনেত্রীর জন্য কিছুতেই মেনে নিতে পারবেনা। কারণ লকেট চট্টোপাধ্যায় তাঁঁদের দলের গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী। তাই তাঁদের আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহের ফলে যদি লকেটের মতন গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী বিজেপি ছাড়ে, তাহলে তাতেই দলের বিশাল ক্ষতি হবে।

অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল দলনেত্রী সুযোগ বুঝে রাজনৈতিক তুরুপের তাস খেললেন। অর্থাৎ আগামী দিনে লকেটের জন্য তৃণমূলের দরজা যে খোলা সে কথা ভাবে ভঙ্গিতে তিনি প্রকাশ করলেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর তা যদি হয়, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য বিজেপির থেকে তৃণমূল শিবির যে বেশ কয়েকধাপ এগিয়ে যাবে সেকথা বলাইবাহুল্য। আপাতত লকেট সুস্থ হয়ে উঠুক এটাই কাম্য সবার কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!