করোনার দোসর এবার অন্য আতঙ্ক, বিজ্ঞানীদের সামনে আনা তথ্যে প্রবল আলোড়ন জাতীয় বিশেষ খবর May 28, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ যখন মাত্রাছাড়া হারে বেড়ে চলেছে, মৃত্যুর সংখ্যা এবং করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিত্যদিন রেকর্ড করে চলেছে, ঠিক সেই সময় দেশজুড়ে হানা দিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস এবং হোয়াইট ফাঙ্গাস। তবে হোয়াইট ফাংগাসের তুলনায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস অ্যাটাক করছে বেশি বলে দাবি চিকিৎসকদের। ইতিমধ্যেই করোনার পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। আর তার মধ্যেই নতুন করে আরো একটি ছত্রাকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নতুন ছত্রাকটি যদি সংক্রমণ শুরু করে মানবশরীরে, তাহলে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। বলা হচ্ছে, বাজারচলতি সমস্ত ওষুধকেই এই নতুন ফাঙ্গাসটি মোকাবিলা করতে পারে, আর সে কারণেই এটি এত ভয়াবহ বলে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। ক্যান্ডিডা অরিস নামক এই ছত্রাকটির প্রথম খোঁজ পাওয়া যায় জাপানে 2009 সালে। সূত্রের খবর, গত মার্চে পুদুচেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশান স্টাডিজ এবং মেরিন বায়োলজির সঙ্গে যৌথভাবে দিল্লির বল্লভ ভাই প্যাটেল চেস্ট ইনস্টিটিউটের এক প্রতিনিধি দল এই নতুন ছত্রাকটি সম্পর্কে গবেষণা করতে পৌঁছান আন্দামান। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মোট আটটি এলাকায় 48 টি নমুনা সংগ্রহ করে এই নতুন ফাঙ্গাসের খোঁজ মিলেছে। দিল্লীর বল্লভভাই প্যাটেল চেস্ট ইনস্টিটিউটের গবেষকরা এই ছত্রাকের সংক্রমণ নিয়ে তীব্র আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ক্যান্ডিডা অরিসের মতন সুপারবাগগুলি হাসপাতালে পরিবেশেই তৈরি হয়। যার ফলে যেকোনো রকম বাজারচলতি ওষুধের জন্য আগে থেকেই প্রতিরোধ তৈরি করে ফেলে এই ভয়ঙ্কর সুপারবাগগুলি। সূত্রের খবর, ভারতে এই প্রথম হাসপাতালের পরিবেশের বাইরে এ ধরনের ছত্রাকের দেখা পাওয়া গিয়েছে যা আগামী দিনে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও গবেষকদের একাংশ আবার দাবি করেছেন, এই ফাংগাসের পক্ষে এই মুহূর্তে প্রাণীদেহের উচ্চ তাপমাত্রা সহন করার ক্ষমতা জন্মায় নি। এখনো এই নতুন ফাঙ্গাস নিয়ে গবেষণা চলছে। এধরনের ফাঙ্গাস সংক্রমণ হলে কোন প্রতিষেধক বা কোন ওষুধ দিয়ে এটিকে প্রতিহত করা যাবে, তার খোঁজে চালাচ্ছেন এই মুহূর্তে বিজ্ঞানীরা। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এ ধরনের সত্য সামনে আসায় আতঙ্ক চরমে উঠেছে। আপনার মতামত জানান -